এটি এমন একটি চিকিৎসা অবস্থা যেখানে শিরায় রক্তচাপ অনেকাংশে বেড়ে যায়। যার কারণে লিভার, কিডনি, মস্তিস্ক ও হার্ট খারাপভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ ছাড়া উচ্চ রক্তচাপের কারণেও চোখ যে কোনও সমস্যার শিকার হতে পারে।
প্রতি বছর ১৭ মে বিশ্বব্যাপী বিশ্ব উচ্চ রক্তচাপ দিবস পালিত হয় যাতে মানুষ রক্তচাপ বৃদ্ধির বিপদ বুঝতে পারে। উচ্চ রক্তচাপ একভাবে শরীরে নীরব ঘাতকের মতো কাজ করে। এটি এমন একটি চিকিৎসা অবস্থা যেখানে শিরায় রক্তচাপ অনেকাংশে বেড়ে যায়। যার কারণে লিভার, কিডনি, মস্তিস্ক ও হার্ট খারাপভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ ছাড়া উচ্চ রক্তচাপের কারণেও চোখ যে কোনও সমস্যার শিকার হতে পারে।
কিভাবে উচ্চ রক্তচাপ জানবেন-
আপনি যদি মাথাব্যথা, মাথা ঘোরা, ক্লান্তি, অলসতা অনুভব করেন। এছাড়া সহজে ঘুম হয় না। হৃদস্পন্দন সহজে দ্রুত হয়। অনেক সময় বুকে ব্যথাও অনুভূত হয় বা শ্বাস নিতে কষ্ট হয়, তাহলে বুঝবেন আপনার রক্তচাপ স্বাভাবিক নয়। এই কারণে অনেক সময় চোখের দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে যায়।
পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াগুলো কি?
হাইপার টেনশন আপনার হৃদয়ের উপর সরাসরি প্রভাব ফেলে। আপনার সরু ধমনী দিয়ে রক্ত পাম্প করার জন্য আপনার হৃদয়কে আরও কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। এই কারণে হার্ট দুর্বল হতে শুরু করে। হৃৎপিণ্ডের সঙ্গে যুক্ত পেশি দুর্বল হতে শুরু করে। করোনারি আর্টারি ডিজিজও অনেককে ধরতে পারে।
উচ্চ রক্তচাপ হার্টের গঠন এবং সিস্টেমকেও প্রভাবিত করে। দীর্ঘদিন ধরে উচ্চ রক্তচাপের কারণে হৃদস্পন্দন অস্বাভাবিক হতে থাকে। যার কারণে হার্ট ফেইলিউর, অ্যাটাক বা অন্য কোনও হৃদরোগও হতে পারে।
উচ্চ রক্তচাপের অবস্থার কারণে স্ট্রোকের ঝুঁকিও বেড়ে যায়। রক্ত ঠিকমতো পাম্প না হলে মস্তিষ্কের দিকে যাওয়া স্নায়ুগুলোও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। যা শেষ পর্যন্ত স্ট্রোকের কারণ হয়।
উচ্চ রক্তচাপ কিডনিতেও প্রভাব ফেলে
ক্রমাগত স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি বিপি কিডনির স্নায়ুকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। যার কারণে তাদের ফিল্টার করার ক্ষমতা কমে যায় এবং কিডনি বিকল হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়।