ক্যালেন্ডারের হিসাবে শীত চলে গেলেও, আবহাওয়া কিন্তু এখনও যথেষ্ট ঠান্ডা। সেই সঙ্গে সামান্য বৃষ্টিপাতের ফলে আবহাওয়ার পরিবর্তন ঘটছে। তাই এই সময় হৃদরোগের ঝুঁকি থেকে যায়। সেটিকে এড়ানোর জন্য ডাক্তারি পরামর্শ অবশ্যই নেওয়া প্রয়োজন। সঠিক পরামর্শ মেনে চললে এই ধরনের রোগ থেকে মুক্তি পাওয়ার সম্ভবনা থাকে।
আজকাল রোগের (Disease) জন্য যেন বয়সের কোনও বালাই নেই। অনেকেরই ধারনা যে হৃদরোগের সমস্যা বা হার্ট অ্যাটাক কেবলমাত্র বয়স্ক মানুষদেরই হতে পারে। কিন্তু মেডিকেল সায়েন্সে দেখা যাচ্ছে, ছোট বাচ্চা থেকে মধ্যবয়স্কদের মধ্যেও হার্ট অ্যাটাকের বিশেষ প্রভাব লক্ষ্যণীয়। আর বিশেষ করে যখন আবহাওয়ার পরিবর্তন হয় তখনও কিন্তু হৃরোগের সমস্যা (Heart Attack) বেশ খানিকটা বেড়ে যায়। সিজন চেঞ্জ বা আবহাওয়ার পরিবর্তন (Weather Change) মানেই কিন্তু শুধু সর্দি-কাশি বা গলাব্যাথা, সামান্য জ্বর নয়। হৃরোগের মত বড় অসুখও অবপানর শরীরে বাসা বাঁধতে পারে। তাই ক্যালেন্ডারের হিসাবে শীত চলে গেলেও, আবহাওয়া কিন্তু এখনও যথেষ্ট ঠান্ডা। সেই সঙ্গে সামান্য বৃষ্টিপাতের ফলে আবহাওয়ার পরিবর্তন (Weather Change) ঘটছে। তাই এই সময় হৃদরোগের ঝুঁকি (Heart Attack) থেকে যায়। সেটিকে এড়ানোর জন্য ডাক্তারি পরামর্শ (Doctors Advice) অবশ্যই নেওয়া প্রয়োজন। সঠিক পরামর্শ মেনে চললে এই ধরনের রোগ থেকে মুক্তি পাওয়ার সম্ভবনা থাকে।
শীতকালে কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের এই ঝুঁকি কমাতে চিকিৎকেরা সহজ কয়েকটি পরামর্শ দিয়ে থাকেন। যেমন, এই শীত শীত আবহাওয়ায় সঠিক পোশাক পরা জরুরি, অতিরিক্ত অ্যালকোহলযুক্ত পানীয় বর্জন করতে হবে, শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ এড়াতে নিয়মিত হাত ধোয়ার অভ্যাস বজায় রাখা এবং অতিরিক্ত শারীরিক পরিশ্রম কমানো।নর্থওয়েস্টার্ন মেডিসিনের তরফে কার্ডিওলজিস্ট প্যাট্রিসিয়া ভ্যাসালো বলেন, শীতকালে (winter) হার্ট অ্যাটাক বৃদ্ধির জন্য বেশ কয়েকটি তত্ত্ব রয়েছে। যেমন, ঠান্ডা আবহাওয়ায় রক্তনালিগুলি সংকুচিত হয়ে যায়। যার ফলে রক্তচাপ বেড়ে যায়। এটি সরাসরি স্ট্রোক এবং হার্ট অ্যাটাকের (Heart Attack) ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়।
ইদানীং হৃদযন্ত্র সংক্রান্ত জটিলতা, বিশেষ করে কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের খবর হামেশাই সোনা যায়। বলা ভাল, আগের চেয়ে আজকাল এই রোগের প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে। তরুণ প্রজন্মের কাজের চাপ, মানসিক চাপ বৃদ্ধি, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস আবার যাদের শারীরিক পরিশ্রমের অভাব সব মিলিয়েই নানা কারনে এই হার্ট অ্যাটাকের বাড়বাড়ন্ত দেখা যাচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, ভুলভাল লাইফস্টাইল বা জীবনযাত্রার জন্যই এই সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে আজকের প্রজন্ম। সেই সঙ্গে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞেরা একটি বিষয় লক্ষ্য করেছেন শীত আবহাওয়ায় কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের ঘটনা উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়ে। শীতকালে শরীরের তাপমাত্রা বজায় রাখতে আমাদের হৃদপিণ্ডকে অতিরিক্ত কাজ করতে হয়। ঠান্ডা হাওয়ায় এই কাজটি ভালো ভাবে করা হৃদযন্ত্রের পক্ষে অত্যন্ত কঠিন হয়ে পড়ে। চিকিৎসকদের দাবি, শরীরের তাপমাত্রা ৯৫ ডিগ্রির নিচে নেমে গেলে হৃদপিণ্ডের পেশির ক্ষতি হতে পারে।