অফিস পলিটিক্সের শিকার হচ্ছেন তা ভালোই ঠাওর করতে পারছেন। নতুন পরিবেশে মানিয়ে নেওয়া সহজ কথা নয়। তাই নতুন অফিসে যোগ দিয়েই বেশ সতর্ক থাকুন। বেশি বন্ধুত্ব পূর্ণ (Friendly) আচরণ যেমন করবেন না তেমনই প্রয়োজনের অতিরিক্ত চুপ থাকবেন না। মেনে চলুন কয়টি জিনিস।
সদ্য যোগ দিয়েছেন নতুন চাকরিতে (Job)। এর আগের সংস্থায় প্রায় ৩ বছর কাজ করেছিলেন। সেখানের পরিবেশ, কাজ দুটোই আপনার পছন্দের ছিল। কিন্তু, কেরিয়ারে গ্রোথ প্রয়োজন। তাই বাস্তবের কথা মাথায় রেখে চাকরি বদল করেই ফেললেন। নতুন অফিসে প্রথম ২ সপ্তাহ সব ঠিক থাকলেও, আজকাল আর ভালো লাগছে না। আপনি যে অফিস পলিটিক্সের শিকার হচ্ছেন তা ভালোই ঠাওর করতে পারছেন। নতুন পরিবেশে মানিয়ে নেওয়া সহজ কথা নয়। তাই নতুন অফিসে যোগ দিয়েই বেশ সতর্ক থাকুন। বেশি বন্ধুত্ব পূর্ণ (Friendly) আচরণ যেমন করবেন না তেমনই প্রয়োজনের অতিরিক্ত চুপ থাকবেন না। মেনে চলুন কয়টি জিনিস।
তর্কে (Controversy) জড়াবেন না কারও সঙ্গে। না জেনে কোনও বিষয়ে মন্তব্য করবেন না। ঠান্ডা মাথায় সব পরিস্থিতি সামলে চলুন। যতটা দরকার ততটা নিজের মতামত প্রকাশ করুন। অনেকেই নতুন অফিসে যোগ দিয়ে বেশি জানেন কিংবা সব কাজে পারদর্শী এমন আচরণ করেন। এতে সকলের চোখে খারাপ হবে। আপনার যতটুকু কাজ ততটুকু করুন।
কেউ কিছু বললেই তা নিয়ে ভাবতে বসে গেলেন এমন করবেন না। কারও কথা মনে নেবেন না। সকলের সঙ্গে সম্পর্ক অফিসে জন্য, সবাই আপনার সহকর্মী এটা মাথায় রাখুন। তাই প্রফেশনাল (Professional) রিলেশন মেনে চলুন। অনেক সহকর্মীর সঙ্গে বন্ধুত্ব হতেই পারে। তবে, কাউকে বিশ্বাস করার আগে তার প্রসঙ্গে সব জেনে নিন।
কাজে মন দিন। কাজের বাইরে সহকর্মীদের সঙ্গে অবশ্যই কথা বলবেন, কিন্তু সারাক্ষণ গল্প করবেন এমন নয়। প্রতিদিন কাজ শেষ করে আসবেন। নিজের কাজটুকুই করুন। বাড়তি দায়িত্ব নেবেন না। কাজের বোঝা অতিরিক্ত হলে না বলতে শিখুন।
অনেকেই মনে করেন একটা Sorry -তে সব সমস্যা মিটে যাবে। কিন্তু, তা ঠিক নয়। কারণ ছাড়া বার বার ক্ষমা চাওয়া বন্ধ করুন। এতে সকলের চোখে আপনি খারাপ হবেন। নিজের ভুল থাকলে তা মেনে নিন। কিন্তু, অন্যের ভুল আপনার কাঁধে নেবেন না।
গসিপ করবেন না ভুলেও। অফিসে চা আড্ডায় মূলত গসিপ (Gossip) হয়ে থাকে। নতুন জায়গায় কে কেমন তা আপনি জানেন না। তাই এই সব থেকে দূরে থাকুন। গসিপে ভুলেও যোগ দেবেন না। কারও বিরুদ্ধে মন্তব্য করবেন না। এতে সমস্যায় পড়তে পারেন।