প্রত্যেকের জীবনে ডিপ্রেশন বা মানসিক অবসাদ খুব সাধারণ বিষয়। কর্ম জীবনে কাজের চাপ বেড়েই চলেছে ক্রমাগত। তার সঙ্গে রয়েছে পারিবারিক আরও সমস্যাও। বাড়ি অফিস ছাড়াও থাকে পারিপার্শ্বিক আরও নানান সমস্যা। তাতে একটা চাপ কমলে অন্য একটি সমস্যা হাজির হয়। আর ক্রমাগত এই সমস্যা কাটিয়ে উঠার তাগিদ বা সমস্যার সম্মুখীন হওয়ার ফলে ডিপ্রেশন বা মানসিক অবসাদে ভুগে থাকেন অনেকেই। তাই আপনি মানসিক অবসাদগ্রস্থ কি না তা জানতে হলে, নিজেকেই করুন কয়েকটি প্রশ্ন। আর এই প্রশ্নগুলি করার পর যদি বোঝেন এই প্রশ্নগুলির মধ্যে বেশিরভাগের উত্তরই হ্যাঁ হয় তবে আপনি অবশ্যই মানসিক অবসাদ বা ডিপ্রেসনে ভুগছেন। এর জন্য আপনাকে অবশ্যই উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে হবে অথবা চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
আরও পড়ুন- নতুন বছরে নতুন ধামাকা জিও-র, ই-কমার্স সাইটে নতুন সংযোজন জিও মার্ট
কঠিন সময়ে নিঃশ্বাসের সমস্যা হয়? কী সমস্যা হবে তা ভেবেই কি আপনি চিন্তায় পড়ে যান? খুব অল্পেই কি আপনি বিরক্ত হয়ে যান? কোনও কিছুর জন্য অপেক্ষা করতে হলে অধৈর্য হয়ে পড়েন? দিনে দু’কাপের বেশি চা-কফি পান করেন? কারণে-অকারণে ধূমপান করেন? সপ্তাহে একটি দিনও কি নিজের জন্য ব্যয় করেন? সামান্য কোনও ব্যাপারে কি প্রচণ্ড উত্তেজিত হয়ে পড়েন? কায়িক কোনও কাজ না করেও কি ঘাম হয় আপনার? অন্যের কথার মাঝে কথা বলেন? এই ৮টি প্রশ্নের মধ্যে
আরও পড়ুন- কল্পতরু উৎসব, বিশেষ এই দিনে অনুগামীরা পেয়েছিলেন ঠাকুরের আধ্যাত্মিক স্পর্শ
কোনও ব্যক্তি ডিপ্রেশনে রয়েছে কি না তা জানতে হলে নজর রাখুন, যদি সেই ব্যক্তির মধ্যে কয়েকটি লক্ষণ দেখতে পান, তবে বুঝতে হবে তিনি মানসিক অবসাদে ভুগছেন। যদি কোনও ব্যক্তি নিজেকে সব সময়ের জন্য কাজে ব্যস্ত রাখে, তবে বুঝতে হবে তিনি ডিপ্রেশনে ভুগছেন। নিজের অনুভূতিগুলো প্রিয়জনদের থেকে আড়াল করা মানেই তিনি মানসিকভাবে বিষাদগ্রস্থ। যদি অল্পতেই কোনও ব্যক্তি রেগে যান। অন্তর্মুখী বা এককেন্দ্রিক হয়ে থাকলে অথবা চিন্তা বা ভাবনায় অস্পষ্টতা থাকলে। অথবা অল্পতেই যদি অসঙ্গত আচরণ করে তবে বুঝতেই হবে তিনি মানসিক অবসাদে ভুগছেন।