আজ বিশ্ব ঘুম দিবস। সুস্থ শরীরের জন্য ঘুম কতটা জরুরি তা আমাদের সকলেরই জানা। কিন্তু সুস্বাস্থ্যের জন্য ঘুম কতটা জরুরু সেই বিষয় মানুষ কতটা সচেতন তা নিয়ে যথেষ্ঠ সন্দেহ রয়েছে। আর মানুষের মধ্যে সেই সচেতনতা গড়ে তুলতেই ২০০৮ সালে প্রতিবছর মার্চ মাসের দ্বিতীয় শুক্রবার ঘুম দিবস পালন করা হয়। আর আজই হল সেই বিশেষ দিন। বর্তমানে এই ব্যস্ততার যুগে সকলেরই নাজেহাল অবস্থা। যার একটি বড় কারণ ঘুম। ঘুমের কারণেই শরীরে দানা বাঁধছে বড় বড় রোগ। তবে সুস্থতার সঙ্গে ঘুমের কী সম্পর্ক রয়েছে, এবং আপনার বয়স অনুযায়ী কতটা ঘুমের প্রয়োজন হয়, তা জানা সকলেরই দরকার। এই ঘুম নিয়ে নানা অজানা তথ্য রয়েছে, যা জানলে অবাক হবেন আপনিও।
আরও পড়ুন-খাদ্য তালিকাতে কী কী রাখলে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে, ঘুম দিবসে রইল সেই খাবারের খোঁজ...
যারা বাড়িতে বিড়াল বা কুকুর পোষেন তারা খেয়াল করলেই দেখবেন বিড়াল বেশিরভাগ সময়েই ঘুমিয়ে থাকে। তার কারণ হল বিড়ালের গোটা জীবনের দুই-তৃতীয়াংশই ঘুমিয়ে কাটে।
আর মানুষের ক্ষেত্রে ঘুমটা যেন এখন সবার শেষে থাকে। গোটা জীবনের এক-তৃতীয়াংশ ঘুমিয়ে কাটায়।
ঘুম ছাড়া মানুষের জীবন চলতে পারে না। কতদিন একটানা না ঘুমিয়ে থাকা যায়, এটা শুনলেই যেন আরও বেশি করে ঘুম পায়। ক্যালিফোর্নিয়ার এক ছাত্র রন্ডি গার্ডনার সবথেকে বেশি টানা ১১ দিন না ঘুমিয়ে ছিলেন। এটাই এখনও পর্যন্ত না ঘুমিয়ে থাকার সর্বোচ্চ সময়।
যদিও এই ভুলটা ভুল করেও করবেন না। এতে আবার মৃত্যু পর্যন্তও ঘটতে পারে।
আরও পড়ুন-সঙ্গমের পর কি ঘুম ভালো হয়, জেনে নিন সেই রহস্য়...
ঘুমের মধ্যে অনেকেই কেঁপে ওঠেন। কারণ এই সময় মানুষের শরীর আধা ঘুমিয়ে থাকে। তাই ঝাঁকুনি অনুভূত হয়। একে প্যারাসমনিয়া বলে।
মানুষই একমাত্র প্রাণী যে কিনা নিজের ইচ্ছায় ঘুম এগিয়ে-পিছিয়ে নিতে পারে। দুপুর ২ টো ও রাত ২ টোর সময় মানুষের সবথেকে বেশি ঘুম পায়।
অতিরিক্ত ঘুম কিংবা কম ঘুম তার প্রভাব পড়ে আয়ুষ্কালের উপর। গবেষণায় দেখা গিয়েছে ৫০-৮০ বছর মহিলাদের মধ্যে বেশিরভাগই মৃত্যু হয়েছে অতিরিক্ত ঘুম বা কম ঘুমের জন্য।
ভারতে প্রায় ১৩.৭ শতাংশ মানুষ স্লিপ অ্যাপনিয়ায় ভোগেন। এর থেকেই স্ট্রোক, ডায়াবেটিস হয়। শিশুদেরও এই রোগ হওয়ার প্রবণতা রয়েছে।