শারীরিক গঠন এবং খাওয়া-দাওয়ার অভ্যাস এর ওপর মানুষের শরীরে মোটা হয়ে যাওয়ার প্রবণতা নির্ভর করে। তাই আমাদের সকলকেই একটা নির্দিষ্ট খাদ্যাভ্যাস, একটি সঠিক জীবনযাত্রার ওপর নির্ভর করে চলা প্রয়োজন। মেদহীন, একটি তন্বী চেহারা আমাদের সকলেরই স্বপ্ন থাকে। ওজন কমানোর জন্য আমরা কত কিছুই না করি! জিমে যাই, দৌড়ঝাপ করি, খাওয়াদাওয়ার পরিমাণ কমিয়ে কত কষ্টটাই না করতে হয়! বাড়তি ওজন নিয়ে চিন্তার শেষ নেই।
আরও পড়ুন- মাস্ক পড়েও থাকা যায় ফ্যাশনেবল, প্রমাণ দিলেন মডেলরা
কোথাও যাওয়ার আগে আপনার পছন্দের পোশাকটা পড়তে গিয়ে দেখলেন কিছুতেই পড়া যাচ্ছে না। ওজন মাপার যন্ত্রে নিজের ওজনটা একবার দেখেই চক্ষু চড়কগাছ? যতই ভাবছেন ওজন সঠিক রাখবেন, ততই যেন দিনে দিনে ওজন বেড়ে চলে। জানেন কি, তিনবেলা পরিমাণ মতো খেয়ে বা ঘাম ঝরানো শরীরচর্চা না করেও ওজন কমানো সম্ভব। শুনতে অবাক লাগলেও, এই পদ্ধতিতেও আপনি অনায়াসেই কমিয়ে ফেলতে পারবেন বাড়তি ওজন। জেনে নেওয়া যাক সেই পদ্ধতিগুলি-
আরও পড়ুন- আসছে রিয়েলমি এক্সফিফটি প্রো ফাইবজি-এর নতুন ফ্ল্যাগশিপ ফোন, রইল বিস্তারিত
সোডা যুক্ত পানীয় পরিত্যাগ করুন। প্রচুর পরিমানে জল পান করুন, যা শরীরের আদ্রতা বজায় রাখতে সাহায্য করবে। চর্বিযুক্ত খাবার ও অতিরিক্ত তৈলাক্ত খাবার পরিত্যাগ করুন। ডায়েটে রাখুন প্রচুর ফল, সবজি ও প্রোটিন। চিপস্, ফাস্টফুড বা জাঙ্কফুড জাতীয় খাদ্য বর্জন করুন। শর্করা জাতীয় এবং ক্যাফেনাইন জাতীয় খাদ্য পরিত্যাগ করুন। ক্রীম জাতীয় খাবার বা প্যাকেটজাত খাবারকে না বলুন সরাসরি। প্রতিদিন গ্রীন টি খাওয়ার অভ্যাস করুন। এতে সপ্তাহে ৪০০ ক্যালরি অবধি বার্ন করতে পারবেন সহজেই।
শুধুমাত্র মেনে চলুন এই কটি নিয়ম। তবে মনে রাখবেন, আজ থেকে নিয়ম মানা শুরু করলেই কালকেই আপনি ফল পাবেন না। এরজন্য আপনাকে একটু ধৈর্য্য ধরতে হবে। মেনে চলতে এই নিয়মগুলি। ডায়েট করা মানেই খাওয়া-দাওয়া বন্ধ করে দেওয়া নয়। এতে শারীরিক সমস্যা আরও বেশি বৃদ্ধি পাবে। তাই ধীরে ধীরে এই অভ্যাসগুলি বদলানোর চেষ্টা করুন।