রান্নাঘরে সাধারণত বেকিং সোডা ব্যবহৃত হয়। বেকিং সোডা কেক, পিৎজা এবং অনুরূপ কিছু বেক করতে ব্যবহৃত হয়। তবে আপনি কি জানেন যে বেকিং সোডা ডিওডোরেন্ট, ফেস ক্লিনজার এবং আরও অনেক কিছু হিসাবে ব্যবহার করা যেতে পারে। রান্নাঘরে গৃহিনীদের অতি পরিচিত এই জিনিস প্রাচীনকালে সাবান হিসেবে ব্যবহার করা হত। কিন্তু বর্তমানে রান্নার কাজে এটিকে নানান কাজে ব্যবহার করা হয়। তবে রান্নার বাইরে স্বাস্থ্য ও সৌন্দর্যে এর কিছু বিশেষ গুণ রয়েছে। হাফিংটনপোস্টের প্রতিবেদন অনুসারে, বেকিং সোডা এর সুবিধাগুলি সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে ব্যবহারের বিষয়ে জানানো হয়েছে। জেনে নেওয়া যাক কোন কোন কাজে ব্যবহার করতে পারেন এই টোটকা।
ডিওডোরেন্ট এর বিকল্প- আন্ডার আর্মের আর্দ্রতা দূর করতে দারুন কার্যকর বেকিং সোডা। এটি আন্ডার আর্মে ব্যবহারের জন্য আট-চামচ বেকিং সোডা এবং এক চা চামচ জলে মিশিয়ে নিতে হবে। এটি ঘামের সমস্যা ও দুর্গন্ধ দূর করতে সাহায্য করে।
ডিটক্স বাথ- স্নানের জলে এক কাপ বেকিং সোডা এবং এক চতুর্থ কাপ বেবি অয়েল মিশিয়ে নিন। এই জল দিয়ে স্নান করুন। আপনার শরীরে খুব ফ্রেশ ও তরতাজা বোধ করবে।
ডেড সেল- মরা ক্যাটিকল বা শুকনো ত্বকের জন্য একটি দারুন কাজ করে। ১ চা চামচ বেকিং সোডা হালকা গরম জল মিশিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করুন। এর পরে, এই পেস্টটি দিয়ে ড্রাই ত্বকে স্ক্রাব করুন। এটি আপনাকে মৃত ত্বকের কোষগুলি সরিয়ে দিতে এবং আপনার ত্বককে নরম করতে সহায়তা করবে।
ব্রণ সমাধান- বেকিং সোডা ব্রণ দূর করতেও খুব সহায়ক। সামান্য জলের সঙ্গে বেকিং সোডা মিশিয়ে একটি কন্টেনারে রেখে নিন। প্রতিদিন দিয়ে ৫-৬ বার পিম্পলগুলিতে লাগান। খুব তাড়াতাড়ি শুকিয়ে দাগ মিলিয়ে দেবে।
ফেসিয়াল ক্লিনজার- বেকিং সোডা মুখ পরিষ্কার করার জন্যও ভালো ভাবে কাজ করে। বেকিং সোডা দিয়ে ফেসিয়াল ক্লিনজার তৈরি করতে এটি নারকেল তেলে মিশিয়ে ফেস ওয়াশ করুন। ত্বকের সমস্য়ার সমাধান হবে, ত্বক হয়ে উঠবে উজ্জ্বল ও মসৃণ।