হাতে আসুক একটু বেশি টাকা, রইল সাইড ইনকামের মজাদার পাঁচ উপায়ের সন্ধান

অর্থ কখনই যথেষ্ট হয় না। এমনকী যদি আপনি ফুল টাইম জবেও মোটা টাকা রোজগার করেন, তবু অতিরিক্ত অর্থ উপার্জন সবসময়ই আলাদা পরিতৃপ্তি দেয়। 

Parna Sengupta | / Updated: Mar 18 2022, 07:21 PM IST

ফুল টাইম জব করেও অনেকেই একটু অতিরিক্ত অর্থ উপার্জন করতে চান। অনেকেই ভাবেন যদি বাড়িতে বসে এমন কাজ (Work From Home) করে যদি অর্থ উপার্জন (Earning) করা যেতো তবে ভালোই হতো। কারণ অর্থ (Money) কখনই যথেষ্ট হয় না। এমনকী যদি আপনি ফুল টাইম জবেও (Full time Job) মোটা টাকা রোজগার করেন, তবু অতিরিক্ত অর্থ উপার্জন (Extra Income) সবসময়ই আলাদা পরিতৃপ্তি দেয়। 

করোনা মহামারী অনেক মানুষকে কর্মহারা করেছে। অনেকের রোজগার কমিয়ে দিয়েছে। তাই করোনা মহামারী পরবর্তী সময়ে যদি অতিরিক্ত অর্থ রোজগার করা যায়, তবে তা মন্দ হয় না। এই প্রতিবেদনে এমন পাঁচটি উপায় রইল, যা আপনাকে সাইড ইনকামের রাস্তা যোগাবে। মূল অর্থ রোজগারের পাশাপাশি, এই সাইড ইনকাম কিছুটা স্বাচ্ছল্য আনবে।  

১) একজন রাইডশেয়ার ড্রাইভার হন

রাইডশেয়ারিং, যেমন ওলা, উবের বা ইন ড্রাইভারের মতো বেশ কিছু অ্যাপ ক্যাব নির্ভর পরিষেবাগুলিতে যুক্ত হতে পারেন। এই কাজ বিশ্বব্যাপী সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল সেক্টরগুলির মধ্যে একটি। রাইডশেয়ার ড্রাইভার হিসাবে কাজ করতে এবং সাইড ইনকাম করতে আপনার অবশ্যই একটি গাড়ি থাকা দরকার। এর সবচেয়ে ভালো দিকটি হল আপনি আপনার নিজের সময়সূচী অনুযায়ী কাজ করতে পারবেন। অফিস থেকে ফেরার পথে বা ফাঁকা সময়ে এদের হয়ে কাজ করতে পারবেন। 

২) অনলাইনে শিক্ষকতা

করোনা মহামারী শিক্ষার দুনিয়ায় বিশাল পরিবর্তন এনে দিয়েছে। গোটা অফলাইন ব্যবস্থাকে ভার্চুয়াল লার্নিং-এ পরিণত করেছে। এর ফলে গত দুই বছরে টিউটরিং একটি লাভজনক ব্যবসায় পরিণত হয়েছে। আপনি যে বিষয়ে একজন বিশেষজ্ঞ, সেই বিষয়গুলিতে আপনার টার্গেট গ্রুপে নির্দিষ্ট সেশনের মাধ্যমে অনলাইনের মাধ্যমে টিউশন দিতে পারেন। এই প্রফেশনে বেশ ভালো অর্থ উপার্জনের জায়গা থাকে। আপনি প্রতিদিন, সাপ্তাহিক বা মাসিক সেশনগুলি বেছে নিতে পারেন।

৩) অনলাইন বিভিন্ন পণ্য বিক্রি

যেহেতু মহামারীর কারণে বিশ্ব মূলত অনলাইনে চলে গেছে, তাই অনলাইনে নতুন পণ্য বিক্রি বা পুরানো আইটেমগুলি পুনর্নবীকরণ করার কথা বিবেচনা করুন। জিনিস বিক্রির জন্য বিভিন্ন সাইট রয়েছে, এছাড়াও ফেসবুক এবং ইনস্টাগ্রামের মতো অনলাইন প্ল্যাটফর্মগুলিতে সাইন আপ করুন৷। আপনি আপনার পণ্য বিক্রি করার জন্য আপনার নিজস্ব ওয়েবসাইট শুরু করতে পারেন। এই ব্যবস্থার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল এই ব্যবসা শুরু করার জন্য আপনার বিশাল পুঁজির প্রয়োজন নেই, বা আপনার পণ্যগুলি রাখার জন্য একটি ফিজিক্যাল স্টোরের প্রয়োজন নেই। বাজারও অনলাইনে বেশ বড় ও সীমাবদ্ধ নয়।

৪) একটি ইউটিউব চ্যানেল শুরু করুন

এই মহামারী পরিস্থিতিতে নতুন ইউটিউবারদের সংখ্যা বৃদ্ধি হয়েছে। যদি আপনার কাছে বিশ্বের সাথে ভাগ করে নেওয়ার মত তথ্য থাকে, তা যদি আকর্ষণীয় বিষয় হয়, তবে আপনি এই যাত্রা শুরু করতে পারেন। দরকার শুধু একটি স্মার্টফোন, ক্যামেরা এবং মাইক্রোফোন। সেইসঙ্গে একটি সাধারণ ভিডিও এডিট করার সফ্টওয়্যার প্রয়োজন। আপনি যদি আপনার দর্শকদের জন্য যথেষ্ট আকর্ষণীয় বিষয়বস্তু তৈরি করেন, বা নতুন গ্রাহক যোগ করেন, তাহলে আপনি YouTube-এর মারফত টাকা আয় করতে পারবেন। 

৫) ফ্রিল্যান্স

ফ্রিল্যান্স হল যখন কেউ একজন স্বাধীন ভাবে বা পরামর্শদাতা হিসাবে তাদের দক্ষতা অনুযায়ী প্রতি ঘন্টা, সাপ্তাহিক, মাসিক বা প্রকল্পের ভিত্তিতে কাজ করেন, সেটা ফ্রিল্যান্সিং। 

কিছু ওয়েবসাইট, যেমন আপওয়ার্ক এবং ফাইভার পেইড গিগ এবং ক্লায়েন্টদের তালিকা করে যাদের ফ্রিল্যান্সার প্রয়োজন।
ফ্রিল্যান্সিং এর জনপ্রিয় ক্ষেত্রগুলোর মধ্যে রয়েছে ফ্রিল্যান্স রাইটিং, মার্কেটিং, ওয়েবসাইট ডিজাইনিং, সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজিং এবং প্রোডাক্ট ফটোগ্রাফি। রাইডশেয়ার ড্রাইভিংয়ের মতো, আপনি আপনার নিজস্ব সময়সূচী অনুসারে ফ্রিল্যান্সের কাজ বেছে নিতে পারেন। 

Share this article
click me!