প্রতিবছর ২১ জুন দিনটি পালিত হয় সংগীত দিবস হিসেবে। ১৯৮১ কিংবা ১৯৮২ সাল নাগাদ ফ্রান্সে প্রথম দিনটি পালিত হয়েছিল। এর পর থেকে ১২০টি দেশে এই দিনটি সংগীত দিবস হিসেবে পালিত হচ্ছে। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের বিভিন্ন ভাষার শিল্পীরা। এই দিনটি পালন করে থাকে। এদিন সারা বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে নানান কনসার্টের আয়োজন করা হয়। আয়োজিত হয় নানান অনুষ্ঠান।
সারা বিশ্ববাসী আজ মেতেছে সংগীতের সেলিব্রেশনে। পালিত হচ্ছে বিশ্ব সংগীত দিবস। প্রতিবছর ২১ জুন দিনটি পালিত হয় সংগীত দিবস হিসেবে। ১৯৮১ কিংবা ১৯৮২ সাল নাগাদ ফ্রান্সে প্রথম দিনটি পালিত হয়েছিল। এর পর থেকে ১২০টি দেশে এই দিনটি সংগীত দিবস হিসেবে পালিত হচ্ছে। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের বিভিন্ন ভাষার শিল্পীরা। এই দিনটি পালন করে থাকে। এদিন সারা বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে নানান কনসার্টের আয়োজন করা হয়। আয়োজিত হয় নানান অনুষ্ঠান।
ইতিহাস ঘাঁটলে জানা যায়, প্রথম আমেরিকান সংগীত শিল্পী জোয়েল কোহেন প্রথম এই দিনটিতে সংগীত দিবস হিসেবে পালন করার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। কিন্তু, সে সময় তা গ্রহণ হয়নি। এরপর ফান্সে ১৯৮১ সালে ফ্রান্সে প্রথম দিনটি পালিত হয়েছিল। ১৯৮১ সালের অক্টোবর তৎকালীন মাসে ফেঞ্চ সংস্কৃত মন্ত্রী জ্যাক ল্যাং এবং সংগীত ও নৃত্য বিভাগের ডিরেক্টর মরিস ফ্লেউরেট একটি কনসার্টের আয়োজন করেন। এরপর দিনটি ন্যাশনল হলিডে হিসেবে ঘোষণা করে ফ্রান্স সরকার। সংগীতের মুক্তির জন্য এটি ছিল এক প্রকার আন্দোলন। এই দিনটির খ্যাতি ক্রমে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে। এরপর ১৯৮৫ সালে সারা ইউরোপ জুড়ে। ধীরে ধীরে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সেলিব্রেট হতে থাকে। বর্তমানে ভারত সহ ১২০টি দেশে দিনটি পালিত হচ্ছে।
চীন, ভারত, ব্রিটেন, জার্মানি, ইতালি, গ্রিস, রাশিয়া, আর্জেন্টিনা, অস্ট্রেলিয়া, সুইজারল্যান্ড-সহ প্রায় ১২০টি দেশে ও ৪৫০টি শহরে পালিত হয় বিশ্ব সংগীত দিবস। বিভিন্ন রেস্তোরাঁ, পার্ক, যানবাহনে বিনা মূল্যে গান শোনানো হয় বিভিন্ন দেশে। শান্তি ও ইতিবাচক চিন্তাকে ছাড়িয়ে দিতে দিবসটি পালিত হয়।
ফ্রান্স থেকেই বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়েছে মিউজিক ডে। ফরাসী ভাষায় খেট ডে লা নামে খ্যাত বিশ্ব সংগীত দিবস। বহু বছর ধরে সে দেশে ঐতিহ্যবাহী মিউজিক ফেস্টিভ্যালের আয়োজিত হয়ে আসছে। ১৯৮২ সালে এ ফেস্টিভ্যাল মিউজিক ডে-তে রূপান্তরিত হয়। গান হতে হবে মুক্ত, সংশয়হীন- এই স্লোগানকে সামনে রেখে সংগীতের মুক্তির জন্য আন্দোলন শুরু হয়েছিল। তার ১৯ বছর পর দিনটি আন্তর্জাতিক মর্যাদা পায়। সে সময় ১১০টি দেশ যোগ দিয়েছিল এই আন্দোলনে। বর্তমানে চীন, ভারত, ব্রিটেন, জার্মানি, ইতালি, গ্রিস, রাশিয়া, আর্জেন্টিনা, অস্ট্রেলিয়া, সুইজারল্যান্ড-সহ প্রায় ১২০টি দেশে ও ৪৫০টি শহরে পালিত হয় বিশ্ব সংগীত দিবস।