চুল উঠছে, মোটা হয়ে যাচ্ছেন! আপনি এই রোগের শিকার নন তো

  • ডিম্বাশয়ে সিস্ট পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম নামে পরিচিত
  • এই রোগের কয়েকটি উপসর্গ রয়েছে
  • প্রথম দিকে বোঝা যায় না কখন এই রোগ জাঁকিয়ে বসেছে
  • জেনে নিয়ে সতর্ক থাকুন 

swaralipi dasgupta | Published : Jul 29, 2019 6:38 AM IST / Updated: Jul 29 2019, 12:09 PM IST

বর্তমানে মহিলাদের মধ্য়ে সবচেয়ে বেশি যে অসুখ দেখা যায় সেটি হল পলিসিস্টিক ওভারি সিন্ড্রোম (পিসিওএস) বা ডিম্বাশয়ে সিস্ট। তবে এই সিস্ট কী ভাবে ডিম্বাশয়ে নিঃশব্দে জায়গা করে নেয়, তা বোঝা মুশকিল। 

পলিসিস্টিক ওভারি কী?

ডিম্বাশয়ে অনেকগুলি ছোট ছোট সিস্টকে বলা হয় পলিসিস্টিক ওভারি। সাধারণত দুটি ঋতুচক্রের মাঝে একটি করে ডিম্বাণু আসে জরায়ুতে। কিন্তু সিস্ট থাকার ফলে ডিম্বাণু ডিম্বাশয় থেকে আর জরায়ুতে আসতে পারে না। জনন প্রক্রিয়াকে পলিসিস্টিক ওভারি ব্যাঘাত ঘটাতে পারে। কারণ জরায়ুতে শুক্রাণু এলে তার সঙ্গে ডিম্বাণু মিশতে পারে না। 

আরও পড়ুনঃ লিভার, স্তন ও প্রস্টেট ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ছে এই কারণে! জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা

তবে সব সিস্টের আকৃতি যদি ১ থেকে ২ মিলিমিটার হয় তা হলে তা নিজে থেকেই বেরিয়ে যায়। কিন্তু সিস্টের আকার ক্রমশ বড় হতে থাকলে সমস্যা বড় হতে থাকে। তখন চিকিৎসকের কাছে যাওআ জরুরি। 

সিস্ট কখন ডিম্বাশয়ে জায়গা করে নেয় তা বোঝা যায় না। কিন্তু তাও কয়েকটি উপসর্গ বলে দিতে পারে পলিসিস্টিক ওভারির কথা। জেনে নেওয়া যাক, সেগুলি কী কী-  

পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোমের উপসর্গ- 

১) ঋতুচক্রের সময়ে অতিরিক্ত পেটে ব্যথা, বমি বমি ভাব একটি বড় উপসর্গ। 

২) কোমরে অসহ্য ব্যথাও ডিম্বাশয়ে সিস্টের আভাস দেয়। 

৩) অনিয়মিত ঋতুচক্র পলিসিস্টিক ওভারির বড় একটি লক্ষণ। 

৪) হরমোনের ভারসাম্যে ব্যাঘাত থেকেও সিস্ট হয়। ফলে চুল ওঠা, গায়ে অতিরিক্ত লোমও এই রোগের ইঙ্গিত দেয়। 

৫) এছাড়া এই রোগের কবলে পড়লে ওবেসিটির শিকার হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। কিন্তু সিস্ট যাতে নিয়ন্ত্রণে থাকে তার জন্য ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা জরুরি। 

সিস্ট ছোট থাকতেই তার চিকিৎসা শুরু করে দিন। না হলে বড় সমস্যা হতে পারে। এমনকী জরায়ুর ক্যানসার হতে পারে বলে মনে করা হয়। তবে এই নিয়ে এখনও গবেষণা চলছে। কিন্তু সিস্ট আকারে বেড়ে গেলে গর্ভধারণে সমস্যা হতে পারে। 

Share this article
click me!