আর মাত্র কয়েকঘন্টা। তারপরেই আসতে চলেছে ভয়ঙ্কর বিপদ। একের পর এক নয়া আতঙ্কে জনজীবন বিধ্বস্ত। তার উপর মহাকাশ থেকে পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে বিরাট উল্কাপিন্ড। বিরাট আকারের এই উল্কাটির গতি এতটাই বেশি যে কোনও সময়ে প্রবল ক্ষয়ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে। প্রবল গতিবেগের এই উল্কাটি যদি পৃথিবীতে এসে পড়ে তাহলে বহু কিলোমিটার এলাকা ধ্বংস হয়ে যাবে। আর এটি যদি সমুদ্রে পড়ে তবে সুনামি হওয়ারও প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে।
আরও পড়ুন-রথটি রূপোর হলেও চাকা চারটি ছিল কাঠের, জানুন কলকাতার 'রানীর রথ'-এর অজানা কাহিনি...
এই গ্রহাণুটির নাম ২০১০ এনওয়াই ৬৫। এবং গ্রহাণুটি লম্বায় প্রায় ১০১৭ ফুট। গ্রহাণুটির গতি প্রতি সেকেন্ডে ১৩ কিলোমিটার।অর্থাৎ প্রতি ঘন্টায় প্রায় ৪৬,৫০০ কিলোমিটার গতিতে ধেয়ে আসছে এই বিশালাকৃতির উল্কা। যেখানে স্ট্যাচু অফ লিবার্টি ৩১০ ফুট এবং কুতুব মিনার ২৪০ ফুট লম্বা। সেখানেএই উল্কাটি দিল্লির কুতুব মিনার থেকে চারগুণ এবং আমেরিকার স্ট্যাচু অফ লিবার্টির চেয়ে তিনগুণ বড়। গ্রহাণুটি ২৪ জুন অর্থাৎ আজ রাত ১২ টা ১৫ মিনিটে পৃথিবীর সবথেকে কাছাকাছি আসবে।
আরও পড়ুন-পেয়ারা পাতাতেই দূর হবে যৌন রোগ, মুক্তি পাবেন মুখের দুর্গন্ধ থেকেও...
মার্কিন মহাকাশ সংস্থা নাসা খবর থেকে জানা গেছে, গ্রহাণুটি পৃথিবীর থেকে প্রায় ৩৭ লক্ষ কিলোমিটার দূর থেকে বেরিয়ে যাবে। তবে মহাকাশ বিজ্ঞানে এই দূরত্বটিকে খুব বেশি দূরত্ব নয় বলেই জানিয়েছে নাসা। উল্লেখ্য, সূর্যের চারপাশে প্রদক্ষিণ করা ছোট ছোট অংশকে বলা হয় গ্রহাণু । এগুলি মূলত মঙ্গল ও বৃহস্পতির মধ্যবর্তী বেল্টে পাওয়া যায়। মাঝে মধ্যে ভবিষ্যতে এগুলি পৃথিবীর ওপর হঠাৎ করেই আছড়ে পড়ে। যদিও এই উল্কাপিন্ড পৃথিবীর কোনও ক্ষতি করতে পারবে না বলেই আসা করছেন নাসার বিজ্ঞানীরা। তবুও এর উপর বিশেষ নজর রাখা হচ্ছে। তবে এত বড় উল্কাপিন্ড যদি পৃথিবীর সঙ্গে সংঘর্ষ ঘটায় তা হলে মারত্মক ক্ষতি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। যেমন-সুনামি, ভূমিকম্প, প্রাকৃতিক বিপর্যয় ঘটে যেতে পারে।