অফিসের কাজ সারতে গিয়ে নিজের ব্যক্তিগত জীবন বলে আর কিছু থাকছে না। যে কাজ অফিসে সারতে সময় লাগত দু’ ঘণ্টা, বাড়িতে সেটা করতে পেরিয়ে যাচ্ছে ঘণ্টা তিন-চার।
ওয়ার্ক ফ্রম হোম, ওয়ার্ক ফর হোম। সবই চলছে একসঙ্গে। বাড়ি থেকে কাজের আলাদাই চাপ থাকে। সেখানে অফিসের কাজ আর বাড়ির কাজ একসঙ্গে করতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে সবাইকেই। আট নয় ঘন্টা অফিসের জন্য নির্ধারিত থাকলেও, অতিরিক্ত কাজের চাপ (Extra Work Pressure) চলে আসে অনেক সময়েই। কার্যত দেখা যাচ্ছে যে, অফিসের কাজ (Office Work) সারতে গিয়ে নিজের ব্যক্তিগত জীবন (Personal Life) বলে আর কিছু থাকছে না। যে কাজ অফিসে সারতে সময় লাগত দু’ ঘণ্টা, বাড়িতে সেটা করতে পেরিয়ে যাচ্ছে ঘণ্টা তিন-চার।
তাহলে কি করবেন, ব্যক্তিগত জীবন বিসর্জন দিয়ে শুধু ল্যাপটপ সর্বস্ব জীবন করে ফেলবেন? একেবারেই নয়। এজন্য দরকার টাইম ম্যানেজমেন্ট।
বাড়ির কাজ আর অফিসের কাজ একসঙ্গে
অফিস টাইমের মধ্যে রান্না বা ঘরের কাজ করা যাবে না, সেটা হয় আগে সেরে নিন, না হলে পরে করবেন। অফিসের টাইমিং মেনটেন করার চেষ্টা করুন। দশটা থেকে ছ’টার মধ্যে সব কাজ সেরে ফেলার রুটিন বানাতে হবে আপনাকেই। অফিসের কাজের শেষে আর সেদিকে তাকাবেন না। তখন বাকি সময়টুকু আপনার বাড়ির আর পরিবারের জন্য।
ওয়ার্ক ফ্রম হোম মানে নিজের ইচ্ছামতো কাজ নয়
ওয়ার্ক ফ্রম হোম মানে নিজের ইচ্ছেমতো সময়ে কাজ করার স্বাধীনতা। কিছু কিছু পেশার ক্ষেত্রে তা হয়তো সম্ভব। কিন্তু সব পেশার ক্ষেত্রে তা হয় না। তাই সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করার চেষ্টা করুন। নিজের ইচ্ছেমতো সময়ে রোজ কাজ করতে গেলে দেখবেন আখেরে আপনারই ক্ষতি হচ্ছে। অন্য সহকর্মীদের কাজের সময়ে অজস্র ফোন ধরতে হবে, মেলের উত্তর দেওয়ার জন্য বসতে হবে ল্যাপটপে -- তার চেয়ে সেই নিয়মই মানুন যা করলে সবচেয়ে কম সময়ের মধ্যে সবচেয়ে বেশি কাজ করতে পারেন।
মানসিক প্রস্তুতি নিন
ওয়ার্ক ফ্রম হোমের জন্য মানসিক প্রস্তুতি নিন এবং নিজের কোথায় ভুল হচ্ছে তা খতিয়ে দেখুন। মনে রাখবেন, চাকরির বাজার এমনিতেই বেশ খারাপ। তার মধ্যে প্রোডাক্টিভিটি নিয়ে যেন সমস্যা তৈরি না হয় তা নিশ্চিত করার দায় আপনারই। বাড়ির কাজের সঙ্গে অফিসের দায়িত্ব গুলিয়ে ফেলবেন না।
বেশি স্ট্রেস নেবেন না
ওয়ার্ক ফ্রম হোমে আমরা ধীরে ধীরে অভ্যস্ত হয়ে উঠছি। আর নিজেকে একা ভাববেন না, যিনি ওয়ার্ক ফ্রম হোম করছেন। প্রত্যেককে এই চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করতে হচ্ছে। ওয়ার্কিং আওয়ারের মধ্যে বেশি ব্রেক নেবেন না। দরকারে প্রতিটি অ্যাসাইনমেন্টের জন্য নির্দিষ্ট সময় বরাদ্দ করুন, তার মধ্যে কাজ সারুন।