১০০ বছর পর্যন্ত, দীর্ঘজীবী হওয়ার ইচ্ছা অনেকেরই থাকে। যদি আপনারও এই ইচ্ছা থাকে, তাহলে আজই এই ৫ টি অভ্যাস অনুসরণ করা শুরু করুন। এগুলো অনুসরণ করাও খুব সহজ। এবং এর ফলাফলও অনেক।
লাল মাংস এড়িয়ে চলা বা উল্লেখযোগ্যভাবে কমানো দীর্ঘ জীবনের জন্য অনেক সাহায্য করে। লাল মাংস (গরুর মাংস, শুয়োরের মাংস, ভেড়ার মাংস ইত্যাদি) উচ্চ চর্বিযুক্ত এবং কখনও কখনও উচ্চ সোডিয়ামযুক্ত, যা হৃদরোগ, কিছু ধরণের ক্যান্সার এবং ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
25
ছোট ছোট খাবার :
দিনে অনেক খাবার খাওয়া এড়িয়ে, ছোট ছোট, পাঁচ বা ছয় বার খাবার খাওয়া, ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণে এবং অতিরিক্ত খাওয়া এড়াতে সাহায্য করে। এটি বিপাক (metabolism) উন্নত করে এবং শক্তির মাত্রা বাড়ায়। এটি ওজন নিয়ন্ত্রণে, রক্তে শর্করার মাত্রা স্থিতিশীল রাখতে এবং শরীরের শক্তির মাত্রা স্থির রাখতে সাহায্য করে।
35
প্রতিদিন ব্যায়াম :
দীর্ঘ জীবনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ রহস্য হলো নিয়মিত ব্যায়াম। এটি কঠিন ব্যায়াম হতে হবে না। প্রতিদিন কমপক্ষে ৩০ মিনিট মাঝারি মাত্রার ব্যায়াম যথেষ্ট। হাঁটা, সাইকেল চালানো, সাঁতার কাটা বা যোগব্যায়াম আপনি বেছে নিতে পারেন। ব্যায়াম পেশী শক্তিশালী করে, হাড়ের ঘনত্ব বাড়ায়, হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্যের উন্নতি করে, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে এবং মানসিক চাপ কমায়।
সুস্থ জীবনের জন্য পর্যাপ্ত ঘুম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বেশিরভাগ প্রাপ্তবয়স্কদের প্রতিদিন ৭-৮ ঘন্টা ঘুম প্রয়োজন। ঘুমের অভাব মানসিক চাপ, ক্লান্তি, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হ্রাস এবং অনেক রোগের কারণ হতে পারে। ঘুমানোর আগে ক্যাফিন, অ্যালকোহল এবং অতিরিক্ত স্ক্রিন টাইম এড়িয়ে চলা ভালো ঘুমের জন্য সহায়ক।
55
সামাজিক যোগাযোগ এবং মানসিক চাপ ব্যবস্থাপনা :
মানুষ সামাজিক প্রাণী। দীর্ঘ জীবনের জন্য দৃঢ় সামাজিক যোগাযোগ এবং সহায়ক সম্পর্ক অপরিহার্য। একাকীত্ব মানসিক চাপ এবং বিষণ্নতা সৃষ্টি করে। বন্ধুবান্ধব, পরিবার বা সামাজিক গোষ্ঠীর সাথে যুক্ত থাকা মানসিক স্বাস্থ্য এবং সুখ বৃদ্ধি করে। মানসিক চাপকে কার্যকরভাবে পরিচালনা করা দীর্ঘ জীবনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। ধ্যান, যোগব্যায়াম, গভীর শ্বাস-প্রশ্বাস, প্রিয় শখে লিপ্ত হওয়া, বন্ধুবান্ধব এবং পরিবারের সাথে সময় কাটানো মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে।