
মহিলাদের কিডনির সমস্যা হওয়ার কিছু কারণ রয়েছে। মূত্রনালীর সংক্রমণ (UTI) মহিলাদের বেশি হয় কারণ তাদের মূত্রনালী মলদ্বারের কাছে অবস্থিত। এটি ব্যাকটেরিয়াকে মূত্রথলিতে সহজেই পৌঁছাতে সাহায্য করে। যদি এই UTIগুলি সঠিকভাবে চিকিৎসা না করা হয়, তবে এগুলি কিডনিতে ছড়িয়ে পড়ে গুরুতর সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। এছাড়াও, গর্ভাবস্থায় হরমোনের পরিবর্তন এবং শারীরিক চাপ কিডনির কার্যকারিতাকে প্রভাবিত করতে পারে।
সকালে চোখের পাতার চারপাশে ফোলাভাব বা গোড়ালি, পা এবং হাতে ফোলা কিডনি রোগের লক্ষণ হতে পারে। কিডনি যখন শরীর থেকে অতিরিক্ত তরল বের করে দিতে ব্যর্থ হয়, তখন এই ফোলাভাব দেখা দেয়। যদি এই ফোলা বিশ্রামের পরেও থাকে, তাহলে অবিলম্বে একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন।
পর্যাপ্ত ঘুমের পরেও ক্রমাগত ক্লান্তি অনুভব করা কিডনির সমস্যার লক্ষণ হতে পারে। কিডনি এরিথ্রোপয়েটিন নামক হরমোন তৈরি করে যা লোহিত রক্তকণিকা তৈরিতে সাহায্য করে। কিডনির কার্যকারিতা কমে গেলে, এই হরমোনের উৎপাদনও কমে যায়, যার ফলে রক্তাল্পতা দেখা দেয় এবং শরীর জুড়ে ক্লান্তি ও দুর্বলতা অনুভূত হয়।
মূত্রের রঙ, গন্ধ বা প্রস্রাবের অভ্যাসে পরিবর্তন গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণ। মূত্রে ফেনা বা বুদবুদ দেখা গেলে মূত্রে প্রোটিন বের হচ্ছে বলে বুঝতে হবে। রাতে ঘন ঘন প্রস্রাব, প্রস্রাবের সময় জ্বালাপোড়া বা ব্যথা কিডনির কার্যকারিতা কমে গেলে দেখা দেয়। মূত্রে রক্ত মিশ্রিত হওয়া খুবই গুরুতর লক্ষণ।
বিশেষ করে রাতে হঠাৎ মাংসপেশীর টান হওয়া কিডনি রক্তে ক্যালসিয়াম, সোডিয়াম এবং পটাশিয়ামের মতো ইলেক্ট্রোলাইটের মাত্রা সঠিকভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না বলে বুঝায়। এই ইলেক্ট্রোলাইটের ভারসাম্যহীনতা মাংসপেশীর কার্যকারিতাকে প্রভাবিত করে এবং টান সৃষ্টি করে।
কিডনির কার্যকারিতা ব্যর্থতার কারণে ফুসফুসে তরল জমে গেলে বা রক্তাল্পতার কারণে শরীরে অক্সিজেনের অভাব হলে শ্বাসকষ্ট হতে পারে। বিশেষ করে শারীরিক কার্যকলাপের সময় এটি লক্ষ্য করা উচিত।
কিডনি যখন বর্জ্য পদার্থ সঠিকভাবে বের করে দিতে পারে না, তখন বিষাক্ত পদার্থ শরীরে জমা হয়ে ত্বকে চুলকানি, শুষ্কতা, ফুসকুড়ি বা আঁশ পড়ার মতো সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। যতই লোশন ব্যবহার করুন না কেন এই চুলকানি সারবে না।
কিডনি রোগের পরবর্তী পর্যায়ে, শরীরে বিষাক্ত পদার্থ জমা হওয়ার কারণে বমি বমি ভাব, বমি এবং ক্ষুধামান্দ্য দেখা দিতে পারে। এটি ওজন হ্রাসের দিকে নেই।
পিঠে ব্যথা অনেক কারণে হতে পারে, তবে কিডনির কাছে ক্রমাগত বা তীব্র পিঠে ব্যথা, বিশেষ করে পাঁজরের নীচে একপাশে ব্যথা হলে, এটি কিডনির সমস্যার লক্ষণ হতে পারে। কিডনিতে পাথর বা কিডনির সংক্রমণ এই ব্যথা সৃষ্টি করতে পারে।