
শোধিত চিনির পরিবর্তে গুড় ব্যবহার করা যেতে পারে। বিশেষ করে শীতকালে তৈরি করা চা, মিষ্টি, কিছু তরকারি ইত্যাদিতে গুড় ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়। ভারতে এখনও গ্রামীণ অঞ্চলে এই ঐতিহ্য অনুসরণ করা হয়।
এতে প্রচুর পরিমাণে ঔষধি গুণ রয়েছে। এতে থাকা শক্তি আমাদের শরীরের সামগ্রিক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। সেই কারণেই শীতকালে গুড় খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। সম্পূর্ণ বিবরণ এই পোস্টে দেখা যাবে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা:
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে গুড় সাহায্য করে। এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, খনিজ পদার্থ রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করে। ঋতু পরিবর্তনের সময় সাধারণ সর্দি, জ্বরের মতো সংক্রামক রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে।
গুড় কি শরীর গরম করে?
আয়ুর্বেদ মতে, গুড়ে তাপ উৎপাদনকারী ধর্ম রয়েছে। এই কারণেই শীতকালে খাওয়ার জন্য উপযুক্ত। আপনার খাবারে গুড় যোগ করলে শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায়। শীতকালে গুড় আরামদায়ক অনুভূতি দেয়। ঠান্ডা আবহাওয়া মোকাবেলা করার জন্য শরীরের উষ্ণতা প্রয়োজন। ঠিক তেমনি শরীরের পুষ্টিরও প্রয়োজন। প্রতিদিন খাবারে গুড় যোগ করলে আপনার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়বে।
মাংসপেশী শক্তিশালী করে!
শীতকালে মাংসপেশীতে ব্যথা হয়। আগে থেকে শরীরে থাকা ব্যথাও তীব্র হয়। এটি এড়াতে পুষ্টি সমৃদ্ধ গুড় সাহায্য করে। গুড়ে শরীরের পেশীর জন্য প্রয়োজনীয় আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়ামের মতো খনিজ রয়েছে। শীতকালে শরীরের কার্যকলাপ এবং পেশীর কার্যকারিতা উন্নত করার জন্য এগুলি অপরিহার্য।
পাচনক্রিয়া উন্নত হয়!
শীতকালে শরীর কিছুটা অলস থাকে। পানি পানও কম হয়। এই কারণে পাচনতন্ত্রে সমস্যা দেখা দেয়। আপনি যে কোনও উপায়ে গুড় খেলে পাচনতন্ত্রের জন্য এটি সহায়ক হবে। গুড় আপনার পাচক এনজাইমগুলিকে উদ্দীপিত করে। কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো পেটের সমস্যা থেকে উপশম দেয়।
রক্তচাপ:
উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগে আক্রান্ত ব্যক্তিরা (যাদের ডায়াবেটিস নেই) শীতকালে বেশি অসুবিধায় পড়তে পারেন। গুড়ে থাকা পটাশিয়াম উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগের জন্য উপকারী।
চায়ে, মিষ্টি তৈরিতে শোধিত চিনির পরিবর্তে গুড় ব্যবহার করুন। উদাহরণস্বরূপ, তিলের সাথে গুড় মিশিয়ে খেতে পারেন। এটি শরীরের তাপ বৃদ্ধি করে। গরম পানিতে গুড় মিশিয়ে পান করতে পারেন। ডিম ছাড়া মিষ্টি তৈরি করতে পারেন। এভাবে বিভিন্ন উপায়ে গুড় ব্যবহার করলে আপনার শরীরের অনেক সমস্যা কমাতে পারবেন।