স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, শীত শুরু হলেই অস্থিরতা, বিষাদ ও দুশ্চিন্তা আঁকড়ে ধরে অনেককে। এমন পরিস্থিতিতে তাদের কোনো কাজ করতে ভালো লাগে না। এটিকে শীতকালীন ব্লুজ বলা হয়
শীতের মৌসুমে সারা দিন অলসতা আমাদের ঘিরে থাকে। শুধু তাই নয়, এই ঋতুতে সূর্যের আলোর অভাবে মানুষ সারাক্ষণ অলস থাকে, যা কখনও কখনও শরীরে মানসিক চাপের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এই সমস্যাটি সিজনাল অ্যাফেক্টিভ ডিসঅর্ডার নামে পরিচিত, যাকে সাধারণত উইন্টার ব্লুজ বা শীতকালীন বিষণ্নতা বলা হয়।
শীতকালীন ব্লুজের লক্ষ্মণ
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, শীত শুরু হলেই অস্থিরতা, বিষাদ ও দুশ্চিন্তা আঁকড়ে ধরে অনেককে। এমন পরিস্থিতিতে তাদের কোনো কাজ করতে ভালো লাগে না। এটিকে শীতকালীন ব্লুজ বলা হয় এবং এতে আক্রান্তদের কম শক্তি, অতিরিক্ত ঘুম এবং অতিরিক্ত খাওয়ার সমস্যা শুরু হয়। এ ছাড়া এ ধরনের মানুষ দুশ্চিন্তার শিকার হতে থাকে।
কীভাবে শীতের ব্লুজ থেকে মুক্তি পাবেন
ব্যায়াম করুন
শীতের মৌসুমে একজন বেশি অলস হয়ে যায় এবং ঘর থেকে বের হতে ভালো লাগে না। কিন্তু আপনি যদি শীতের ব্লুজ থেকে মুক্তি পেতে চান, তাহলে ব্যায়ামই সবচেয়ে ভালো উপায়। এমন পরিস্থিতিতে প্রতিদিন অন্তত ১৫ মিনিট ব্যায়াম করা জরুরি। কারণ শরীরকে সচল রাখতে ব্যায়াম খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং এটি মানসিক চাপও কমায়। এছাড়াও ব্যায়াম শরীরের ক্র্যাম্প থেকেও মুক্তি দেয়।
ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার
এ ছাড়া আপনি যদি শীতের ব্লুজ থেকে নিজেকে দূরে রাখতে চান, তাহলে ভিটামিন সি খাওয়া খুবই জরুরি। এর জন্য আপনাকে অবশ্যই কমলা, সবুজ শাকসবজি এবং শুকনো ফল খেতে হবে।
হালকা থেরাপি প্রয়োজন
প্রতিদিন কমপক্ষে ২০ মিনিটের জন্য শরীরকে সূর্যের আলো পাওয়া উচিত। তবে শীতকালে সূর্যের আলোর অভাবে আমাদের চোখ প্রয়োজনীয় পরিমাণে আলো পায় না। যারা এই বিষয়ে সংবেদনশীল, তাদের মেজাজ খারাপ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
আপনার খাদ্যের যত্ন নিন
শীতের ব্লুজ এড়াতে শীতকালে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী রাখা জরুরি এবং এর জন্য খাদ্যের দিকে বিশেষ নজর দিতে হবে। শীতের ব্লুজ এড়াতে এবং সুস্থ থাকতে ভাজা খাবার খান। এ জন্য খাদ্যতালিকায় ছোলা, সবজি ও বাদাম অন্তর্ভুক্ত করুন।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।