আঙুর তাজা রাখতে মেশানো হচ্ছে 'মারণ বিষ'! ক্ষতি থেকে বাঁচতে খাবার আগে এই কাজ করুন

Published : Feb 21, 2025, 10:19 AM IST
grapes

সংক্ষিপ্ত

আঙুর তাজা রাখতে মেশানো হচ্ছে 'মারণ বিষ'! ক্ষতি থেকে বাঁচতে খাবার আগে এই কাজ করুন

সকাল সকাল বাজার থেকে চকচকে নিখুঁত ফল সবজি গুলোই বাড়িতে আসা চাই। কোনও ফল একটু ট্যারা-ব্যাকা হলে চলবে না, বেছে বেছে একেবারে মসৃণ বড়ো বড়ো সুন্দর দেখতে ফলগুলো কিনতে হবে। কিন্তু জানেন কি অন্য মরশুমের ফল সবজি আরেক মরশুমেও কীভাবে পাওয়া যাচ্ছে? মরসুম শুরু হতে না হতেই টাটকা ফল সবজি বাজারে চলে আসে, কিন্তু কীভাবে?

সবে গরম পড়ল বলে, এর মধ্যেই বাজারে উঠেছে সবুজ, কালো ও বিদেশি আঙুর। বাজারে বিক্রি হওয়া অধিকাংশ আঙুরেই তাজা দেখার জন্য একটি কৃত্রিম রং ও রাসায়নিক মেশানো জল স্প্রে করা হয়, যাতে বহুদিন পর্যন্ত আঙুর না পচে। এমনকী চকচকে ও টাটকা দেখাতে ফলকে হাল্কা তরল মোমের মধ্যে ডোবানো হয়। আগাছা আর গাছের ক্ষতি করা পোকার হাত থেকে ফল বাঁচাতে রাসায়নিক কীটনাশকের ব্যবহার তো সব চাষেই হচ্ছে। তাই কিনে এনে শুধু জলে ধুলেই তার থেকে কীটনাশক বা রাসায়নিক দূর হচ্ছে না। এই আঙুর খেলে ছোট বড়ো নির্বিশেষে সবার শরীরের ক্ষতি হবেই।

দীর্ঘদিন ধরে এই রাসায়নিকগুলো শরীরে প্রবেশ করলে রক্তের সাথে মিশে নানা রকম রোগ দেখা দিতে পারে। শরীরে হরমোনের তারতম্য, স্নায়ুর কার্যকারিতা বিঘ্ন, লিভার বা অন্ত্রের সমস্যা, এমনকি ক্যানসারের মতো দুরারোগ্য ব্যধির প্রবণতাও বাড়ে।

আঙুর থেকে কীটনাশক দূর করার উপায় :

১. যেকোনও রাসায়নিক বা কীটনাশক দূর করার সবচেয়ে ভাল পদ্ধতি হল নুন-জলে আঙুর ডুবিয়ে রাখা। আধা ঘণ্টা নুন-জলে ভিজিয়ে রেখে তারপর পরিষ্কার জলে ধুয়ে নিতে হবে।

আবার জলে ও ভিনিগার মিশিয়েও আঙুর ধুতে পারেন। এর মধ্যে এক চিমটে নুন মিশিয়ে দিন। এতে ১০ থেকে ১৫ মিনিট আঙুরগুলো ডুবিয়ে রাখুন। পরে জল থেকে তুলে পরিষ্কার জলে ভাল করে ধুয়ে নিতে হবে ফলগুলো।

৩. আজকাল বাজারে এমন অনেক তরল পাওয়া যায় যেগুলো ফল বা সবজি জীবাণুমুক্ত করে বলে দাবি করা হয়। এধরণের রাসায়নিক মেশানো তরল আলাদা করে উপকার কিছু করে না।বরং বাড়িতে বেকিং সোডা জলে তাতে ১৫ মিনিট আঙুর ভিজিয়ে রেখে ধুয়ে নিতে পারেন। 

PREV
click me!

Recommended Stories

আপনার পোষ্যের ঘুমের অঙ্গীভঙ্গি দেখলে আপনি বুঝতে পারবেন তার মনোভাব
বাটিতে প্রস্রাব থেকে দুই ভাইকে বিয়ে, ২০২৫-এর চর্চায় উঠে এসেছিল অদ্ভুত বিয়ের এইসব রীতি