Kidney Stone: কিডনি স্টোনের প্রাথমিক লক্ষণগুলো চিনে নিন, এই অসুবিধা দেখে গেলে এক্ষুনি চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে

Published : Mar 11, 2025, 02:23 PM IST
Kidney Stone: কিডনি স্টোনের প্রাথমিক লক্ষণগুলো চিনে নিন, এই অসুবিধা দেখে গেলে এক্ষুনি চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে

সংক্ষিপ্ত

Kidney Stone: কিডনি স্টোন একটি সাধারণ সমস্যা। প্রাথমিক লক্ষণ দেখে এটি শুরুতেই বোঝা যেতে পারে। আসুন জেনে নেওয়া যাক লক্ষণগুলি কী কী? 

কিডনি (বৃক্ক) শরীরের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। এটি শরীরের বর্জ্য পদার্থ ছেঁকে, জলের ভারসাম্য রক্ষা করে এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে। কিন্তু মাঝে মাঝে ক্যালসিয়াম, অক্সালেট, ইউরিক অ্যাসিডের মতো লবণ ও খনিজ বর্জ্য পদার্থ প্রস্রাবের সঙ্গে মিশে একটি স্তূপ তৈরি করে। এটাই কিডনি স্টোন (Kidney Stones)। কিডনি স্টোন ছোট হলে চিকিৎসার প্রয়োজন ছাড়াই প্রস্রাবের সঙ্গে বেরিয়ে যায়। তবে বড় হলে কিডনি, মূত্রাশয়ের মতো পথে বাধা সৃষ্টি করে এবং তীব্র ব্যথা সৃষ্টি করতে পারে।

কিডনি স্টোন থাকলে দ্রুত চেনার লক্ষণ:

১. তীব্র পার্শ্ব ব্যথা : 

এটি কিডনি স্টোনের প্রধান লক্ষণ। পিঠের নিচের দিকে, পাঁজরের নিচের অংশে (Flank – শরীরের পাশের অংশ)
পেটের একপাশে, জরায়ুর কাছাকাছি (মহিলাদের ক্ষেত্রে) ব্যথা হয়। ব্যথা ধীরে ধীরে শুরু হয়ে তীব্র হতে থাকে।
মাঝে কমে আবার জোরালো হয়। সময়ের সাথে সাথে ব্যথা অন্য জায়গায় সরতে পারে। এই ব্যথা অসহ্য হলে জরুরি চিকিৎসার প্রয়োজন।

২. প্রস্রাবে রক্ত:

প্রস্রাবে লাল, বাদামী বা হালকা গোলাপী রং দেখা গেলে, কিডনি স্টোন বা মূত্রনালীতে ঘর্ষণের কারণে হতে পারে। প্রস্রাব পুরো লাল বা গোলাপি রঙের হতে পারে। কখনও কখনও ছোট রক্তের কণাও থাকতে পারে।
শেষে প্রস্রাব বের হওয়ার সময় তীব্র জ্বালা ও ব্যথা হয়। এটি দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়ার মতো একটি লক্ষণ।

৩. মূত্রনালীর সংক্রমণ :

কিডনি স্টোন প্রস্রাবে ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধি বাড়িয়ে দেয়, ফলে মূত্রনালীর সংক্রমণ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। প্রস্রাব করার সময় খুব জ্বালা হয়।  প্রস্রাব করার সময় তীব্র ব্যথা হয়। দুর্বলতার সাথে ঝিমুনি আসে।  প্রস্রাবে দুর্গন্ধ থাকে, এগুলো সবই কিডনি স্টোনের লক্ষণ। কিডনি স্টোন দীর্ঘক্ষণ থাকলে, ইউটিআই সংক্রমণ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।

৪. প্রস্রাব করতে না পারা :

কিডনি স্টোন মূত্রনালীকে আটকে দিলে, প্রস্রাব বের হতে পারে না।  প্রস্রাব করতে খুব কষ্ট হয়। প্রস্রাব থেমে থেমে আসে। প্রস্রাব খুব কম হয়।  খুব দ্রুত প্রস্রাব করার তাগিদ আসে, কিন্তু প্রস্রাব হয় না।
এটি জরুরি চিকিৎসার প্রয়োজনীয় অবস্থা। দ্রুত ডাক্তারের কাছে যান।

৫. ঘুম না আসা এবং অতিরিক্ত ক্লান্তি :

কিডনি স্টোন শরীরের অভ্যন্তরীণ চক্রকে প্রভাবিত করে, ফলে বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা হয়। দীর্ঘক্ষণ ঘুমানো যায় না। শরীরে হঠাৎ ক্লান্তি ও ঘুমের অভাব দেখা দেয়। সঠিক খাবার খাওয়ার পরেও তীব্র ক্লান্তি লাগে। ওজন কমে যায়। কিডনি ভালোভাবে কাজ না করলে, পুরো শরীর অচল হয়ে যেতে পারে।

৬. বমি ও মাথা ঘোরা :

কিডনি বর্জ্য অপসারণ করতে না পারলে, শরীরে অনেক বেশি বিষ তৈরি হয়। এর ফলে বমি ও মাথা ঘোরা হয়। পেটে বমি বমি ভাব লাগে। খাবার দেখলে বমি আসার মতো অনুভূতি হয়। খুব ঘুম না আসলে অজ্ঞান হয়ে যাওয়া। মাথা ঘুরে পড়ে যাওয়ার মতো অবস্থা হয়। এটি কিডনির গুরুতর সমস্যার প্রধান লক্ষণ। 

৭. শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়া ও ঠান্ডা লাগা :

সংক্রমণের কারণে শরীরের তাপমাত্রা হঠাৎ করে বেড়ে যায়। কখনও কখনও ঠান্ডা ও কাঁপুনি থাকে। শরীরে ব্যথা ও প্রস্রাবে সমস্যা হয়। কিডনি স্টোন থাকার পাশাপাশি, যদি মূত্রনালীর সংক্রমণও হয়, তাহলে দ্রুত চিকিৎসা প্রয়োজন। 

কখন ডাক্তারের কাছে যেতে হবে?

* অসহ্য কিডনির ব্যথা হলে
* প্রস্রাবে রক্ত দেখা গেলে
* প্রস্রাব পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেলে
* হঠাৎ জ্বর ও অজ্ঞান হয়ে গেলে

কিডনি স্টোন থাকলে, তা সঙ্গে সঙ্গে সমস্যা তৈরি করে না। তবে শরীরে এই লক্ষণগুলো থাকলে দ্রুত ডাক্তারের কাছে যেতে হবে। কিডনি স্টোন কিডনির কার্যকারিতা কমিয়ে শরীরের স্বাভাবিক ভারসাম্য পরিবর্তন করতে পারে। এটা এড়াতে বেশি করে জল পান করা উচিত। সাধারণ খাবার পরিমাণ মতো খাওয়া উচিত। লবণাক্ত খাবার কম পরিমাণে খাওয়া উচিত।

PREV
click me!

Recommended Stories

বাড়ির বারান্দা সাজাতে ব্যবহার করতে পারেন এই কয়টি গাছের মধ্যে একটি, রইল তালিকা
বাড়িতে সবচেয়ে বেশি জীবাণু এখানেই জন্মায়