বাদামে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, কার্বো হাইড্রেট এবং প্রোটিন থাকে। যা শীতকালে শরীর উষ্ণ রাখতে দারুণ কার্যকরী।
বাদাম খেলেই তড়তড়িয়ে বাড়ে ওজন, এই ধারণা এখন অতীত। বাদামে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, কার্বো হাইড্রেট এবং প্রোটিন থাকে। যা শীতকালে শরীর উষ্ণ রাখতে দারুণ কার্যকরী। এর পাশাপাশি ইমিউনিটি বাড়াতেও দারুণ কাজ করে বাদাম। বাদাম এমন একটি খাবার যা প্রায় সকলেই খেতে ভালবাসে। রাস্তায় চলতে ফিরতে যখনই চোখে পড়লেই মুখে পুড়ে দেয় টুক করে। কিন্তু কোন বাদাম কতটা পরিমাণে খাবেন, তা জানা ভীষণ জরুরি। শীতের মরশুমে নিজেকে আরও উষ্ণ করে তুলতে অবশ্যই পাতে রাখুন এই ৫ বাদাম।
শীতকালে প্রতিদিন পাতে রাখুন আমন্ড বা কাঠবাদাম। রাতে ঘুমানোর আগে ৪ টি করে ভিজিয়ে রেখে সকাল বেলায় উঠে খেয়ে নিন। এর মধ্যে ভিটামিন ই, এ, বি ১, বি ৬, ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়াম রয়েছে, যা চুল ও ত্বকের জন্য উপকারী। এটি নিয়মিত খেলে রক্তচাপ ও ডায়াবেটিসের মতোন জটিল রোগ কমে। প্রতিদিনের খাবারে স্যালাড, কেক,কুকিসের মধ্যে আখরোট রাখুন। অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও ওমেগা ৩ ফ্য়াটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ আখরোট স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।
অনেকের মতে, কাজুবাদাম খেলে ওজন বাড়। কিন্তু পরিমাণ মতো খেলে ওজন বাড়ার বদলে তা নিয়ন্ত্রণে থাকে। শীতকালে ২-৩ টি করে কাজুবাদাম খাওয়া শরীরের পক্ষে ভাল। এতে শরীর গরম হওয়ার পাশাপাশি এনার্জি বাড়ে। চিনাবাদামে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, কার্বো হাইড্রেট এবং প্রোটিন থাকে। প্রতিদিন এক মুঠো করে বাদাম খেলে আপনার শরীরের অনেক উন্নতি হবে। এতে আপনার শরীর থেকে রোগভোগ দূরে যাবে।আমাদের শরীরে অত্যাধিক কোলেস্টেরল থাকলে সেখান থেকে হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপ, ওজন বৃদ্ধি, ও ডায়াবেটিসের মতো কঠিন রোগের সৃষ্টি করে। তাই প্রতিদিন বাদাম খেলে বাদামে থাকা কার্যকরী ফ্যাট শরীর থেকে কোলেস্টেরল দূর করতে সাহায্য করে। বাদাম শরীরের অতিরিক্ত চর্বি কমাতেও সাহায্য করে। প্রতিদিন এক মুঠো করে চিনাবাদাম খেলে শরীর ভাল থাকবে। প্রতিদিন রাতে বাদাম ভিজিয়ে রেখে সকালে সেই বাদাম খান। এতে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকবে। বাদামে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকতে সাহায্য করে। অন্যান্য বাদাম গুলির তুলনায় পেস্তা বাদাম পুষ্টিগুণে একটু বেশিই ভাল। খেতেও যেমন সুস্বাদু তেমনই শরীরের জন্য ভাল। এই বাদাম খেলে ওজন হ্রাস, রক্তচাপ, রক্তে শর্করার পরিমাণ ও কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।