
চপস্টিক দিয়ে খেলে স্বাস্থ্যের অনেক উপকার হয়। যেমন—এটি সূক্ষ্ম মোটর দক্ষতা বাড়ায়, মস্তিষ্কের কার্যকারিতা উন্নত করে, স্নায়ুতন্ত্রকে সক্রিয় রাখে, ধীরে ধীরে খেতে সাহায্য করায় অতিরিক্ত খাওয়া কমে, হজম ভালো হয় এবং রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। কারণ এটি ছোট কামড় নিতে বাধ্য করে এবং ভালো করে চিবিয়ে খেতে উৎসাহিত করে, যা ওজন নিয়ন্ত্রণ ও বদহজম রোধে সহায়ক।
* মস্তিষ্ক ও স্নায়ুর বিকাশ: চপস্টিক ব্যবহারে মস্তিষ্কের উভয় গোলার্ধের মধ্যে সমন্বয় বাড়ে, হাত ও চোখের সংযোগ উন্নত হয় এবং স্নায়ু সংকেত শক্তিশালী হয়, যা মস্তিষ্কের মোটর কর্টেক্সকে সক্রিয় রাখে।
* ওজন নিয়ন্ত্রণ: ধীরে ধীরে এবং ছোট ছোট কামড় নিয়ে খেতে বাধ্য হওয়ায় পেট ভরে গেছে এমন সংকেত মস্তিষ্কে পৌঁছাতে সময় পায়, ফলে অতিরিক্ত খাওয়া এড়ানো যায় এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে।
* হজমশক্তি বৃদ্ধি: খাবার ভালো করে চিবিয়ে খেতে হয়, যা হজম প্রক্রিয়া সহজ করে এবং গ্যাসের সমস্যা কমায়।
* রক্তে শর্করার নিয়ন্ত্রণ: ধীরে ধীরে খাওয়ার কারণে খাবারের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স (GI) কমে আসে, যা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে এবং ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমায়।
* মনোযোগ বৃদ্ধি: প্রতিটি খাবারকে গুরুত্ব দিয়ে মনোযোগ সহকারে খেতে হয়, যা প্রতিটি খাবারকে একটি ব্যায়ামের মতো করে তোলে এবং মনোযোগ বাড়ায়।
* দম বন্ধ হওয়ার ঝুঁকি হ্রাস: ছোট কামড় এবং সচেতনভাবে খাওয়ার কারণে খাবার গলায় আটকে যাওয়ার বা দম বন্ধ হওয়ার ঝুঁকি কমে যায়।
* শিশুদের: ছোটবেলা থেকে চপস্টিক ব্যবহার করলে তাদের হাত-চোখের সমন্বয় এবং সূক্ষ্ম পেশী নিয়ন্ত্রণ উন্নত হয়।
* প্রাপ্তবয়স্কদের: যারা ওজন কমাতে চান বা স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস গড়ে তুলতে চান তাদের জন্য এটি দারুণ।
সুতরাং, চপস্টিক শুধু একটি খাওয়ার সরঞ্জাম নয়, এটি একটি স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের উপায়ও বটে।