
ঘরদোর পরিষ্কারের কথা উঠলেই জামা কাপড়, বিছানার চাদর, বালিশের কভার, আসবাবপত্র, মেঝে সিলিং, দেয়াল - সব পরিষ্কার করা হয় শুধু বিছানার তোষক ছাড়া। সম্ভবত কেনার পর থেকে একবারও পরিষ্কার করা হয়নি এটি। অনেকেই মাঝে মাঝে রোদে দিয়ে থাকে, তবে তাতে জীবাণুমুক্ত কতটা হয় তা নিয়ে সন্দেহ অনেকটা। ঋতুস্রাব, শিশুর প্রস্রাব বা ঘামের দাগ ইত্যাদি নানা কারণে জীবাণু ধরে তোষকে।
নিয়মিত পরিষ্কার না করলে নানারকম রোগ বাসা বাঁধতে পারে শরীরে। কারণ অপরিষ্কার তোষকে জীবাণুদের আস্তানা তৈরি হতে থাকে, ফলে অ্যালার্জি, শ্বাসকষ্টের মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই বছরে অন্তত দু’বার ভাল করে বিছানার গদি পরিষ্কার করা উচিত।
তোষকে লেগে থাকা যেকোনো দাগ পরিষ্কার করা যাবে একেবারে যদি, ব্যাবিহার করুন ডিটার্জেন্টের দ্রবণ। ১ লিটার ঠান্ডা জলে ১ চামচ ডিটার্জেন্ট গুলে নিন। এবার কোন কাপড় বা নরম ব্রাশ ডিটারজেন্টের জলে ডুবিয়ে, তোষকের মধ্যে বৃত্তাকার গতিতে জোরে জোরে ঘষতে হবে। হয়ে গেলে এবার পরিষ্কার ভেজা কাপড় দিয়ে উপর থেকে ভালো করে মুছে নিতে হবে। এইবার রোদে দিয়ে শুকিয়ে নিলেই পরিষ্কার আপনার তোষক।
বেকিং সোডা দিয়ে তোষক পরিষ্কারের জন্য পুরো তোষকের উপরে বেকিং সোডা ছড়িয়ে রেখে দিন রোদে। ঘন্টাখানেক ফেলে রাখুন ভালো কাজ দেবে। এবার কোন শুকনো কাপড় বা ব্রাশ দিয়ে ভালো করে ঘষে ঘষে তুলে নিন বেকিং সোডা। একেবারে জীবাণু ও দুর্গন্ধ মুক্ত হবে আপনার তোষক।
ঘরে মেশিন ছাড়া তোষক পরিষ্কারের জন্য বেকিং সোডা ও ভিনিগার ব্যবহার করতে পারেন। তার জন্য একটি বাটিতে মিশিয়ে নিন এই দুটি উপকরণ। এবার তোষকের উপর এই দ্রবণটি ছড়িয়ে দিন ভালোভাবে। এবার কয়েকটি পরিষ্কার তোয়ালে নিয়ে দ্রবণ ছড়ানো তোষকের ওপর বিছিয়ে দিতে হবে। ২-৪ ঘণ্টা এভাবেই রেখে দিয়ে তোয়ালেগুলি সরিয়ে গদিটি রোদে-হাওয়ায় শুকোতে দিন। এবার দ্রবনের বাকি যতটুকু পড়ে থাকবে তা কাপড় বা ব্রাশ দিয়ে ঘষে তুলে ফেলুন, পরিষ্কার আপনার তোষক।