
Warm Water: গিজার ছাড়াই শীতে ট্যাঙ্কের জল গরম রাখতে চাইলে কয়েকটি সহজ পদ্ধতি অনুসরণ করতে পারেন! ট্যাঙ্কের রঙ কালো করা (যা তাপ শোষণ করে), ট্যাঙ্ককে বেশি রোদ লাগে এমন জায়গায় রাখা, ট্যাঙ্কের উপরে ও পাশে ইনসুলেশন (যেমন – থার্মোকল বা ফোম শিট) ব্যবহার করা, এবং জল গরম রাখতে 'সোলার ওয়াটার হিটার'-এর মতো প্রাকৃতিক পদ্ধতি ব্যবহার করা; এতে বিদ্যুৎ বিল বাঁচবে এবং ঠান্ডা জলের সমস্যা মিটবে।
১. কালো রঙ ও সঠিক স্থান: রঙ: জলের ট্যাঙ্কটি কালো রঙ করে নিন। কালো রঙ তাপ দ্রুত শোষণ করে, ফলে সূর্যের আলো পড়লে জল তাড়াতাড়ি গরম হবে এবং ঠান্ডা কম হবে। স্থান: ট্যাঙ্কটি বাড়ির এমন জায়গায় রাখুন যেখানে দিনের বেশিরভাগ সময় রোদ লাগে।
২. তাপ নিরোধক (Insulation): থার্মোকল/ফোম শিট: ট্যাঙ্কের বাইরের অংশে থার্মোকল বা ফোম শিট জড়িয়ে দিন। এটি তাপ ধরে রাখতে সাহায্য করবে এবং ঠান্ডা কম লাগবে। পুরোনো কম্বল বা কার্পেট: ট্যাঙ্কের চারপাশে পুরোনো কম্বল বা কার্পেট মুড়ে রাখতে পারেন।
৩. সোলার ওয়াটার হিটার (যদি সম্ভব হয়): এটি একটি দীর্ঘমেয়াদী এবং পরিবেশবান্ধব সমাধান। সোলার প্যানেল সূর্যের তাপকে ব্যবহার করে জল গরম করে ট্যাঙ্কে পাঠায়।
৪. মাটির নীচের জলের ব্যবহার (যদি থাকে): টিউবওয়েল বা কুয়োর জল মাটির গভীরে থাকায় তাপমাত্রা প্রায় সারা বছর ২৫°C থাকে। শীতকালে বাইরের তাপমাত্রা কম থাকায় এই জলকে গরম মনে হয়। সকালে প্রথম দিকের ঠান্ডা জল ব্যবহার না করে কিছুক্ষণ পর এলে তুলনামূলক কম ঠান্ডা জল পাওয়া যায়।
৫. অন্যান্য পদ্ধতি: রাতে জল গরম করে (গিজার বা ইমারসন রড দিয়ে) ট্যাঙ্ক ভর্তি করলে সকালে সেই গরম জল ব্যবহারের সুযোগ থাকে। তবে এতে বিদ্যুৎ খরচ হয়।
এই পদ্ধতিগুলো অনুসরণ করলে গিজার ছাড়াই শীতের সকালে ট্যাঙ্কের জল কিছুটা উষ্ণ বা আরামদায়ক তাপমাত্রায় পাওয়া সম্ভব।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।