
আসছে খুশির আর এক উৎসব দিওয়ালি। শারদ উৎসবে যেরকম গোটা শহর আলোকিত হয়ে ওঠে, ঠিক তেমনই দিওয়ালিতে প্রত্যেকটি ছোট বা বড় ঘর থেকে শুরু করে ওলি গোলি সম্পূর্ণ শহর আলোকিত ও ঝলমলে হয়ে ওঠে। ঘরে ঘরে প্রদীপ মোমবাতি ছোট ছোট আলোর যেন ফুলঝুরি। কিন্তু এই সময় বাজারে সুগন্ধি মোমবাতির চড়া দাম। তাহলে যদি বাড়িতে একটু সময় করে আপনি মোমবাতি তৈরি করে নেন তাহলে খানিকটা সাশ্রয়ও হয় এবং আপনার মন মত হতে পারে।
তাই দিওয়ালিতে বানান নিজের হাতে তৈরি মোমবাতি। দিওয়ালির জন্য DIY মোমবাতি তৈরি করতে পারেন। প্রথমে পুরোনো মোমবাতি গলিয়ে নিয়ে তাতে রং এবং সুগন্ধি মেশাতে পারেন। এরপর, একটি উপযুক্ত পাত্রে (যেমন - কাঁচের জার বা টিনের কৌটা) সুতো (wick) বসিয়ে গরম মোম ঢেলে দিন। মোম ঠান্ডা হয়ে গেলে আপনার নিজের হাতে তৈরি সুগন্ধি ও রঙিন মোমবাতি দিয়ে দিওয়ালিতে ঘর সাজাতে পারেন।
* পুরোনো মোমবাতি: এগুলি গলিয়ে নতুন মোমবাতি তৈরি করা যেতে পারে।
* রঙ: মোমকে রঙিন করার জন্য বিভিন্ন রঙের মোমবাতির ব্যবহার করতে পারেন।
* সুগন্ধি: সুগন্ধযুক্ত মোমবাতি তৈরির জন্য পছন্দের সুগন্ধি তেল ব্যবহার করতে পারেন।
* মোমবাতি বানানোর পাত্র: কাঁচের জার, টিনের কৌটা, বা ফয়েল বাটি ব্যবহার করা যেতে পারে।
* সুতো (Wick): মোমবাতি বানানোর জন্য সুতো প্রয়োজন হবে।
* অন্যান্য উপকরণ: সুতোর পিন, কাঁচের গ্লাস, জল, এবং রং।
** পুরোনো মোমবাতি গলানো: পুরোনো মোমবাতিগুলি ছোট ছোট টুকরো করে কেটে একটি পাত্রে নিয়ে গলিয়ে নিন।
** রং ও সুগন্ধি মেশানো: গলে যাওয়া মোমের সাথে পছন্দের রং এবং সুগন্ধি তেল মিশিয়ে নিন।
** সুতোর প্রস্তুতি: আপনি চাইলে সুতো দিয়ে নিজের মোমবাতি তৈরি করতে পারেন অথবা বাজার থেকে কেনা সুতো ব্যবহার করতে পারেন।
** মোম ঢালা: একটি উপযুক্ত পাত্রে মোম ঢেলে দিন এবং সুতোটি মাঝখানে রাখুন।
** ঠান্ডা করা: মোম ঠান্ডা হয়ে গেলে, পাত্র থেকে সাবধানে বের করুন।
আপনি কাঁচের গ্লাস, জল এবং রং ব্যবহার করেও মোমবাতি বানাতে পারেন।
দিওয়ালিতে মোমবাতি জ্বালানোর সময় ৩ ঘণ্টার বেশি না জ্বালানোর চেষ্টা করুন, কারণ এটি বিপজ্জনক হতে পারে।
মোমবাতি পরিষ্কার করার জন্য দেশলাই ব্যবহার করতে পারেন।