
রাস্তার ধারে বাড়িঘর থাকলে সুবিধা আছে যেমন দোকানপাট, রাস্তাঘাট, বিভিন্ন পরিবহন, এক জায়গা থেকে অন্য জায়গা যাওয়ার সুবিধা গুলি পাওয়া যায় খুব সহজেই সে যত রাতই হোক না কেন। তেমনি অন্যদিকে এর আবার কিছু খারাপ দিক আছে বলতে পারেন।রাস্তার ধারে বাড়ির যেমন সুযোগ-সুবিধা আছে, তেমনই অসুবিধাও কম নেই। অসুবিধা বলতে প্রচন্ড ডাস্ট বা পলিউশন এর জন্য ঘরের আসবাবপত্র বা সর্বসময় জানলা দরজায় মোটা পর্দা দিয়ে রাখতে হয়। না হলে ধুলো তে ঘরময় ভরে যায় এর ফলে একটা এয়ার পলিউশন হয় ঘরের ভেতরে।।
রাস্তার ধারে বাড়ি হওয়ার সবচেয়ে বড় সমস্যাই হল ধুলো আর গাড়ির শব্দ। নিয়মিত ধুলো ঝেরেও এমন সমস্যার সমাধান হয় না। তবে এই সমস্যার সহজ সমাধান হতে পারে কিছু উপায়ে। তাহলে সেগুলি আলোচনা করা যাক।যেমন :
রাস্তার ধারে বাড়ি হলে পরে এয়ার পিউরিফায়ার এর খুবই প্রয়োজন পড়ে। কারণ বাতাসে মিশে থাকা ধুলো, রাসায়নিক, বিষাক্ত কণা থেকে বাঁচতে এয়ার পিউরিফায়ারের দরকার হয়। যাঁদের শ্বাসকষ্টের সমস্যা রয়েছে, তাঁদের জন্য এটি খুবই কার্যকর। মূলত ঘরের বাতাস দূষণমুক্ত করতেই যন্ত্রটির প্রয়োজন হয়।
বাইরে থেকে ভেসে আসা প্রচুর পরিমাণ ধূলিকণা বাতাসে মিশে থাকে। যার ফলে বাতাসে ভেসে আসা ধুলো এই যন্ত্র আটকে দেয়, তাই ঘরে ধুলোর পরত কম জমবে।
দ্বিতীয়ত ফিল্টারও পরিষ্কার করা দরকার। মানে এসির ফিল্টার ঘন ঘন পরিষ্কার করা ভীষণই গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। কারণ রাস্তার ধারে বাড়ি থাকলে প্রচন্ড পরিমাণে ধুলো বাতাসের সাথে মিশে যেকোনোভাবে ঘরে ঢুকতে পারে। সেক্ষেত্রে যদি এসির ফিল্টার একটু শক্তিশালী না হয় বা ঘনঘন পরিষ্কার না করা হয় সেক্ষেত্রে বাতাসে ধুলো-ময়লা বেশি থাকলে, ফিল্টারও দ্রুত নোংরা হবে এবং বাতাস পিউরিফাই করতে পারবেনা। ধুলো ভরা ফিল্টার শ্বাসকষ্টের কারণ হতে পারে। তা থেকে অসুখও ছড়াতে পারে।
ঘরের ভেতরের সজ্জাতেও ভাবনা করা জরুরি, বেশি কারুকাজ করা আসবাব পত্র, গালিচা, মোটা পর্দা, ভেলভেটের সোফা— এগুলিতে ধুলো জমে বেশি। ঝাড়লেও চট করে যেতে চায় না। তাই বাড়িতে ধুলোবালি বেশি হলে প্রথমেই এগুলিতে নজর দেওয়া দরকার। তাই ব্যবহার করতে পারেন আধুনিক আসবাবপত্র । সেই কারণে বেশি নকশা থাকে না। ব্যবহার করাও সহজ হয়।