
ভারতের জাতীয় প্রাণী বাঘ। বাঘের সংখ্যা হ্রাস পাচ্ছে, বিশ্ববাসীর দৃষ্টি আকর্ষণ করতে প্রতি বছর ২৯শে জুলাই আন্তর্জাতিক বাঘ দিবস পালিত হয়। বাঘ সংরক্ষণের প্রচেষ্টা সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধি করা এই দিবসের লক্ষ্য। সেই লক্ষ্যেই আজ আন্তর্জাতিক বাঘ দিবস।
২০১০ সালে রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গে অনুষ্ঠিত বাঘ শীর্ষ সম্মেলনে আন্তর্জাতিক বাঘ দিবসের সূচনা হয়। এই শীর্ষ সম্মেলনে বাঘের সংখ্যা বেশি থাকা দেশগুলি ২০২০ সালের মধ্যে বাঘের সংখ্যা দ্বিগুণ করার প্রতিশ্রুতি দেয়। সেই থেকে আজ অবধি বিলুপ্তপ্রায় বাঘ সংরক্ষণের জন্য বিশ্বব্যাপী প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
পৃথিবীর জন্য বাঘ কেন গুরুত্বপূর্ণ?
বাঘ কেবল সুন্দর প্রাণী নয়। তারা অন্যান্য প্রাণীর সংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করে প্রকৃতির ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। বাঘ ছাড়া বাস্তুতন্ত্র ভারসাম্যহীন হয়ে পড়বে। তারা সুস্থ জীববৈচিত্র্য নিশ্চিত করে। তাদের উপস্থিতি একটি সমৃদ্ধ, সু-পরিচালিত বনের লক্ষণ। এটি জলবায়ু স্থিতিশীলতা, জল সংরক্ষণ এবং কার্বন সঞ্চয়ের জন্য অপরিহার্য। তাই বাঘের বেঁচে থাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
বাঘ সম্পর্কে কিছু তথ্য:
WWF, বাঘ সম্পর্কে কিছু তথ্য প্রকাশ করেছে:
- ভারত, বাংলাদেশ, থাইল্যান্ড, চীন, রাশিয়া সহ ১৩ টি দেশে বাঘ বাস করে।
- বিশ্বে সবচেয়ে বেশি বাঘ ভারতে রয়েছে।
- বাঘ সাধারণত শিকারের জায়গায় খায় না, বরং লুকিয়ে নিয়ে গিয়ে খায়।
- দুর্ভাগ্যবশত গত শতাব্দীতে বাঘের সংখ্যা ৯৫% কমে গেছে।
- ২০২৩ সালের বাঘ গণনায় ভারতে ৩১৬৭ টি বাঘ রয়েছে। বিশ্বব্যাপী বাঘের সংখ্যা মাত্র ৭৫%।
হ্রাসের কারণ:
- কৃষিকাজ এবং উন্নয়নের জন্য বন উজাড়ের ফলে বাঘের আবাসস্থল হ্রাস পাচ্ছে।
- মানুষের বসতি সম্প্রসারণের ফলে বাঘের আবাসস্থল ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এবং মাঝে মাঝে বাঘ ও মানুষের মধ্যে সংঘর্ষের সৃষ্টি হচ্ছে।
- পরিবেশগত পরিবর্তন বাঘের আবাসস্থলের জন্য হুমকিস্বরূপ।
মনে রাখবেন
এই বছরের আন্তর্জাতিক বাঘ দিবস কেবল স্মরণীয় নয়, পৃথিবীর কল্যাণের জন্য বাঘ এবং তাদের আবাসস্থল সংরক্ষণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বাঘ সম্পর্কে সচেতনতা ছড়িয়ে, সংরক্ষণ প্রচেষ্টাকে সমর্থন করে, আমরা সবাই বাঘের বনে বেঁচে থাকা নিশ্চিত করতে পারি।