অ্যাপেল সিডার ভিনিগারের যেমন অনেক উপকারিতা রয়েছে তেমনই আবার সঠিক ভাবে নিয়ম মেনে না খেলে অ্যাপেল সিডার ভিনিগার থেকে যে কোনও বড় ক্ষতি হয়ে যেতে পারে। তাই নিজেকে সুস্থ রাখতে গেলে এবং মেদ ঝরিয়ে স্লিম অ্যান্ড ট্রিম হতে গেলে মেনে চলতে হবে বেশ কিছু নিয়ম।
ওজন কমাতে প্রত্যেকেই মরিয়া হয়ে ওঠে। ডায়েট থেকে শুরু করে শরীরচর্চা সব কিছুই করেও নাজেহাল। মেদ ঝরানোর জন্য একের পর এক সব করেও কোনও ফল পাচ্ছেন না। কিন্তু মেদ কমাতেই হবে। তার জন্য যে কোনও উপায়েই হোক তা রপ্ত করতেই হবে। কিন্তু হাজারো চেষ্টা করেও সব কৌশলই ব্যর্থ হচ্ছে। শেষমেষ ভরসা রেখেছেন অ্যাপেল সিডার ভিনিগারের উপর। তবে খেলেই হল না এটি খাওয়ার বিশেষ সময়ও রয়েছে। বেলি ফ্যাট, মেদ ঝরাতে অনেকেই নিয়মিত ভাবে এই অ্যাপেল সিডার ভিনিগার খেয়েও থাকেন। অ্যাপেল সিডার ভিনিগারের যেমন অনেক উপকারিতা রয়েছে তেমনই আবার সঠিক ভাবে নিয়ম মেনে না খেলে অ্যাপেল সিডার ভিনিগার থেকে যে কোনও বড় ক্ষতি হয়ে যেতে পারে। তাই নিজেকে সুস্থ রাখতে গেলে এবং মেদ ঝরিয়ে স্লিম অ্যান্ড ট্রিম হতে গেলে মেনে চলতে হবে বেশ কিছু নিয়ম।
সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে রোগের সংখ্যা। ছোট হোক বা বড় বয়স যেন হার মানছে রোগের কাছে। আর এর জন্য বেশিরভাগটাই দায়ি আমরা নিজেরাই। মূলত অনাভ্যাসের কারণ, অনিয়মিত জীবনযাত্রাই দায়ী এর পিছনে। আবার কারও কারও ক্ষেত্রে বিষয়টি একেবারে উল্টো। যাদের জিনগত সমস্যা রয়েছে তারাও বিভিন্ন রোগে ভুগতে পারেন। খাওয়ার আগে অনেকেই যে কোনও জিনিসের গন্ধ শুঁকে নেন। অ্যাপেল সিডার ভিনিগারের ক্ষেত্রে এটা কখনওই করবেন না। কারণ অ্যাপেল সিডার ভিনিগার শুঁকলে চোখ ও নাকের বড় সমস্যা হতে পারে। তাই অ্যাপেল সিডার ভিনিগার খাওয়ার সময় জল মিশিয়ে হালকা করেও খেতে পারেন। এতে কড়া গন্ধ আপনার নাকে লাগবে না।
খাওয়ার পরেই কি অ্যাপেল সিডার ভিনিগার খাচ্ছেন? তাহলে এই অভ্যেস এখনই ত্যাগ করুন। ভরাপেটে অ্যাপেল সিডার ভিনিগার খেলে শরীরে নানা ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। ভরা পেটের বদলে খালি পেটে অ্যাপেল সিডার ভিনিগার খেলে হজমের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে।রাতের বেলা ঘুমোতে যাওয়ার আগে কখনওই অ্যাপেল সিডার ভিনিগার খাবেন না। যদিও খান তাহলে খাওয়ার পর অন্তত ৩০ মিনিট সোজা হয়ে বসে থাকবেন। না হলে কিন্তু অম্বল হয়ে যেতে পারে। ভুল করেও একসঙ্গে অনেকটা অ্যাপেল সিডার ভিনিগার খেয়ে নেবেন না। সবার আগে শরীরের সঙ্গে অভ্যস্ত হতে সময় দিন। শুরুর দিকে অল্প অল্প করে খাওয়া শুরু করুন। তারপর পরিমাণ বাড়ান। না হলে পেটের সমস্যা দেখা দিতে পারে। অ্যাপেল সিডার ভিনিগার খেয়েই সঙ্গে সঙ্গে দাঁত ব্রাশ করবেন না। এর ফলে দাঁতের এনামেল ক্ষয়ে যেতে পারে। এবং দাঁতে ক্যাভিটি দেখা দিতে পারে। তাই অ্যাপেল সিডার ভিনিগার খাওয়ার কমপক্ষে ৩০ মিনিট পরে দাঁত ব্রাশ করুন।শুধু অ্যাপেল সিডার ভিনিগার খেলেই হল না খাওয়ারের পাশাপাশি শরীরচর্চা কিন্তু মাস্ট। তাই খাওয়া দাওয়ার পাশাপাশি শরীরচর্চাও করতে হবে নিয়ম করে তবেই ওজন থাকবে আপনার নিজের বশে।