ছাত্রের সঙ্গে যৌন সম্পর্কে অভিযুক্ত শিক্ষক, এখন তিনি দুবাইয়ের প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন যোগা, জেনে নিন মহিলার কাহিনি
ফের স্পটলাইটে এলেন মেলিসা টুইডি। বর্তমানে তিনি দুবাইয়ের বাসিন্দা। সেখানে যোগা শেখাচ্ছেন। নিশ্চয়ই ভাবছেন, দুবাই শহরে শয় শয় যোগা শিক্ষক আছে, তাহলে কেন মেলিসা টুইডি-র প্রসঙ্গ উঠল। জানলে অবাক হবেন যে মেলিসা টুইডি-র জীবন সম্পর্কে।
বর্তমানে দুবাই শহরে একজন যোগা শিক্ষক হিসেবে জীবনযাপন করছেন মেলিসা টুইডি। এক সময় ১৮ বছর বয়সী ছাত্রে সঙ্গে যৌন সম্পর্ক করার কারণে খবরে ছিলেন তিনি। সময়টা ২০১৭ সাল। স্কুলের প্রম রাতে, ২২ বছর বয়সী মেলিসা টুইডি প্রচুর পরিমাণে মদ্যপান করেন। হোটেলে এক ছাত্রের সঙ্গে যৌন সম্পর্ক করেন।
স্কটল্যান্ডের পেসলির গ্লেনিফার হাই স্কুলের এক ছাত্রের সঙ্গে তার সম্পর্ক ছিল। নানান খারাপ ঘটনার সঙ্গে জড়িত হওয়ায় স্কুল থেকে বহিষ্কার করা হয় তাকে। তারপর স্কটল্যান্ড ছাড়েন মেলিসা টুইডি। স্কটল্যান্ড ছাড়ার পর মেলিসা দুবাই চলে যান। যেখানে যোগা শেখান মেলিসা টুইডি। তবে, অবাক করা বিষয় হল সেখানে তার ফিজ।
জানা গিয়েছে, যোগা শেখাতে গিয়ে ২ লাখ টাকা চার্জ নেন মেলিসা টুইডি। সেখানে ১২জল ছাত্র রয়েছে মেলিসা টুইডির। প্রত্যেকের থেকে ২০০ পাউন্ড অর্থাৎ ২ লক্ষ টাকা চার্জ করেন। শুধু তাই নয়, এখন তিনি স্বাভাবিক জীবনযাপন করছেন।
যোগা শিখিয়ে প্রচুর অর্থ উপার্যন করেছেন মেলিসা টুইডি। সেখানের এক বাসিন্দার সঙ্গে বাগদান সেরে ফেলেছেন। এক কথায় স্বভাবিক জীবনযাপন করছেন মেলিসা টুইডি।
দুবাইয়ে থাকাকালীন তিনি ইংরেজিও শিখেছেন। নিজে পড়াশোনার করার সঙ্গে সঙ্গে সাধারণ মানুষকে যোগা শেখান মেলিসা টুইডি। বর্তমানে যোগা শিক্ষক হিসেবে নিজের পরিচিতি গড়েছেন মেলিসা টুইডি।
সম্প্রতি, মেলিসা টুইডি তার সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টে লিখেছেন, আমি আপনাকে বলতে চাই যে আমাদের জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন স্বাভাবিকভাবেই আসে। কিন্তু, আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, প্রায়শই এমন ঘটনা ঘটে যা আপনাকে গভীরভাবে প্রভাবিত করে বা তার জন্য আপনি ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি অনুভব করবেন। তবে, জেনে রাখুন যে ভালো ও খারাপ- গোটা পৃথিবী আপনার পিছনে আছে।
জানা যায়, এক সময় ১৮ বছর বয়সী ছাত্রের সঙ্গে যৌন সম্পর্ক গঠনের কারণে তিনি সমস্যায় পড়েন। নিজের চাকরি হারান। ২০১৭ সালে তিনি হোটেলে স্কটল্যান্ডের পেসলির গ্লেনিফার হাই স্কুলের ছাত্রের সঙ্গে যৌন সম্পর্ক গড়েন। তার নিজের শিক্ষকতার অধিকার হারান। তারপর স্কটল্যান্ড ত্যাগ করেন তিনি।
এক বিশেষ সূত্রে জানা যায়, তিনি বলেছিলেন, শিক্ষকতা ছাড়তে বাধ্যকরা হয় তাকে। এই ঘটনা তার সঙ্গে ঘটে যাওয়া সব থেকে কঠিন জিনিস ছিল। তবে, স্কটল্যান্ডে তার জীবনের সেরা সময় কাটিয়েছেন বলে তিনি মনে করেন। তবে, এখন তিনি প্রচুর অর্থ উপার্জন করেছেন, যা ভালোবাসেন তাই করেছেন।
তিনি বলেন, অবশ্যই যে পরিস্থিতিতে তাকে আঘাত করা হয়েছিল তা সত্যিই বিব্রতকর ছিল। তবে, এখন তিনি অতীত ভুলে এগিয়ে চলেছেন। তিনি ২০০ ঘন্টার যোগা প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকেন। ৯০ মিনিটের সেশন ও মেডিটেশন ক্লাস করান। ক্রিস্টাল বোল অ্যান্ড গংগস করান। পাঁচজন করে একটি টিম বানিয়ে তিনি প্রতিক্ষণ দিয়ে থাকেন।
তাঁর জীবনের ঝলক মিলেছে ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইলে। তিনি বর্তমানে যে স্বাভাবিক জীবনযাপন করছেন তা বলার অপেক্ষা রাখে না। বর্তমানে নিজের নতুন জীবন নিয়ে বেশ খুশি মেলিসা টুইডি।