
খাবারে ঘিয়ের ব্যবহার যেমন স্বাদ কয়েক গুণ বাড়িয়ে তোলে, তেমনি চর্মরোগ নিরাময়ে ও ত্বকের পরিচর্যায় ঘি ব্যবহারে রয়েছে নানান উপকারিতা। এই গরমে উজ্জ্বল ভালো ত্বক রাখা খুবই দুষ্কর। তারওপর ঘাম ও গরমে হওয়া ৱ্যাশ, চুলকানি বিশেষ করে এগজিমা ভোগায় অনেককেই। বিরক্তিকর এই সমস্যা থেকে মুক্তি দেবে খাঁটি ঘি।
ঘিয়ের মধ্যে থাকে ভিটামিন এ, ডি এবং ই, অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখে। সংক্রমণ থেকে বাঁচায়। পাশাপাশি ত্বকের বয়স ধরে রাখার ক্ষমতাও রয়েছে এতে। ঘি'তে থাকা ফ্যাটি অ্যাসিডও ত্বকের ঔজ্জ্বল্য ও অর্ডারতা ধরে রাখে।
কী কী ভাবে ব্যবহার করতে পারেন ঘি?
১. ঘি-দুধ-বেসন প্যাক
দেড় কাপ কাঁচা দুধে বেসন এবং এক চামচ ঘি দিয়ে ভালো করে গুলে মিশ্রণ বানিয়ে নিতে হবে। এবার সারা শরীরে লাগিয়ে নিয়ে শুকিয়ে গেলে একটি গরম জলে ভেজানো তোয়ালে দিয়ে ঘষে ঘষে তুলে নিন। এতে ত্বক উজ্জ্বল আর্দ্র হবে সাথে পরিষ্কারও হবে। সংক্রমণ হওয়ার সমভাবনা কমবে।
২. ঘি-হলুদ দু'চা-চামচ ঘিয়ের সঙ্গে এক চামচ কাঁচা হলুদ বেটে মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণটি ত্বকের যেখানে যেখানে র্যাশ বা এগজিমা হয়েছে, বা চুলকানি হচ্ছে সেখানে ১৫ থেকে ২০ মিনিট লাগিয়ে রেখে, পরিষ্কার জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে তিন দিন ব্যবহার করলেই উপকার পাবেন।
৩. ঘি-কমলালেবুর খোসা
আধ কাপ চালের গুঁড়ো, তিন চামচ জল ঝরানো টক দই, কমলালেবুর খোসা বাটা, গোলাপের পাপড়ির গুঁড়ো, সামান্য জাফরান এবং দু’চামচ ঘি দিয়ে ভাল করে মিশিয়ে নিন। ত্বকের শুষ্ক ও খসখসে জায়গা যেখানে চর্মরোগ হয়েছে, সেখানে লাগিয়ে রাখুন ২০ মিনিট। এটি ত্বকের শুষ্কতা দূর করে দাগ হীন করে তুলবে।
৪. ঘি-মুসুর ডাল বাটা
এক কাপ মুসুর ডাল বাটা, দু’চামচ চন্দনের গুঁড়ো, এক চা চামচ কাঁচা হলুদ বাটা এবং তিন চামচ ঘি মিশিয়ে মিশ্রণ তৈরী করুন। মিশ্রণটি ত্বকে লাগিয়ে রাখুন ১৫ থেকে ২০ মিনিট। তারপর ভালো করে ধুয়ে নিন।
৫. সাবানের বদলে ঘি
র্যাশ বা ত্বকের সমস্যা হলে সাবান ব্যবহার করতে বারণ করেন চিকিৎসকেরা। ক্ষারযুক্ত সাবান ত্বকের যেকোনো সমস্যাকে আরও বাড়িয়ে দেয়। তাই ক্ষারীয় সাবানের বদলে ব্যবহার করতে পারেন ঘি। স্নানের আগে চার চামচ ঘি গলিয়ে, সারা গায়ে মেখে ১৫ মিনিট মতো রেখে দিন। পরে স্নান করে নেবেন। নিয়মিত ব্যবহার করলে ত্বক নরম ও মসৃণ থাকবে। ত্বকের সমস্যা কমবে তাড়াতাড়ি।
সারাংশ গরম পড়তে না পড়তেই ত্বকের সমস্যা বাড়তে থাকে। ৱ্যাশ, চুলকানি, এগজিমা'র মতো অস্বস্তিকর সমস্যাগুলি নিরাময়ের ভালো উপায় হতে পারে খাঁটি ঘি। জানুন ব্যবহারের উপায়।