Profile Picture: পুজোয় চাই নতুন ‘ডিপি’! তাই রইল কলকাতার কিছু সুন্দর মন কেড়ে নেওয়া ঠিকানা

Published : Sep 22, 2025, 02:02 AM IST
Profile Picture: পুজোয় চাই নতুন ‘ডিপি’! তাই রইল কলকাতার কিছু সুন্দর মন কেড়ে নেওয়া ঠিকানা

সংক্ষিপ্ত

Profile Picture:  কলকাতার মধ্যে কিছু ফটোজেনিক জায়গা তে ছবি তুলে আপনিও বানাতে পারেন নিজের নতুন নতুন ডিপি।

Profile Picture: আজ মহালয়া। পুজোর আর মাত্র সাতটা দিন বাকি। পিতৃপক্ষের অবসান ঘটে দেবিপক্ষের সূচনা হলো আজ। বলতে পারেন পুজো শুরু হল। সঙ্গে শুরু হল সাজগোজ। পুজোয় নানারকম জামা কাপড় সাজগোজ করে প্রত্যেকেই ডিপি তোলার জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়েন। ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, হোয়াটসঅ্যাপ সব জায়গায় নতুন করে নিজেকে ভরিয়ে তুলতে সকলেই উদগ্রীব থাকেন। নতুন জামাকাপড়ে ক’টা দিন একটু বেশি কায়দা।

আসবে নতুন ডিপি?

পূজোর পাঁচটা দিন নতুন আদব-কায় দেয় নিজেকে ফুটিয়ে তুলতে নতুন সাজগোজ নিয়ে সব জায়গায় ডিপি দিতে কে না চায়! আর সবচেয়ে বড় কথা ফটো তুলতে অনেকেই ভালোবাসেন! তাই পূজোর সময় যদি একটু নতুন সাজগোজে নতুন জামা কাপড়ে কিংবা কাশফুলের বনে কিংবা গঙ্গার ধারে যদি সুন্দর সুন্দর ফটো পাওয়া যায় তাহলে তো আর কোন কথাই নেই। আসুন দেখা যাক কলকাতার বুকে এরকমই কয়েকটি জায়গা।

১.কাশবন একেতে শরৎকাল.. আসন্ন দুর্গাপুজোয় যদি শরতের আগমন বার্তা ছবিতে বোঝাতে হয়, তবে কাশবনের চেয়ে ভাল আর কী হতে পারে! আর সব চেয়ে বড় কথা হল সেই কাশবন খুঁজতে কলকাতার বাইরে যেতে হবে না। গ্রাম নয়, খাস শহরের বুকেই হাওয়ায় কাশের মাথা দোলানো দেখা যাবে নিউটাউনের দিকে গেলে। টালিগঞ্জ এবং বেহালার দিকেও শরৎ এলে মাথা তোলে কাশফুল। দেবীপক্ষের যে কোনও দিন নীল আকাশে পেঁজা তুলোর মতো মেঘ দেখলেই বেরিয়ে পড়ুন। কাশবনের ওপারে ‘পথের পাঁচালী’র ট্রেন না থাক লালপেড়ে সাদা শাড়িতে আপনার দুর্গা হওয়া আটকায় কে!

২। হাওড়া ব্রিজ আর ফুলের হাট।এই কম্বিনেশন টা দারুন। দিলজিৎ দোসঞ্জ কলকাতায় এসে হাজির হয়েছিলেন এই ফুল বাজারে! তাঁর রিলস-এ মল্লিক ঘাটের রূপ দেখে গোটা দুনিয়া জানতে চেয়েছে, জায়গাটা কোথায়। শুধু দিলজিৎ-ই বা কেন। এ ঘাটে এসেছেন প্রিয়ঙ্কা চোপড়া থেকে রণবীর কপূর হয়ে বহু বলিউড তারকা। কারণ, কলকাতা-কেন্দ্রিক অনেক বলিউড সিনেমার শুটিং হয়েছে এখানে। আর ঘরের পাশের এমন একটি পিকচার পারফেক্ট জায়গায় ছবি তোলার সুযোগ আপনি ছাড়বেন? আকাশ মেঘলা হোক বা নীল, তার বুকে আঁকা হাওড়া ব্রিজ, এক পাশে গঙ্গা, অন্য পাশে রঙিন ফুলের পসরা!

কলকাতার ট্রাম এখনও হাতে গোনা কয়েকটি রুটে চলছে

৩। ট্রাম রাইড দু’কামরার লোহার শকট একটি আস্ত টাইম মেশিন। আজও এক নিমেষে নিয়ে গিয়ে ফেলতে পারে পুরনো শহরের আমেজে। পুজোয় পাটভাঙ্গা তাঁতের শাড়িটি পরে প্রিয় মানুষটির সঙ্গে উঠে পড়ুন সেই ট্রামের কামরায়। জানলা দিয়ে দেখতে থাকুন অচেনা শহরের স্লাইড শো। হারিয়ে যান সময়ের জানলায়। আর ঠিক তখনই লেন্সবন্দি হোক জানলায় মাথা, আলগা খোঁপা, লুটিয়ে পড়া তাঁতের শাড়ি আর এক ইস্পাত যান। কলকাতার ট্রাম এখনও হাতে গোনা কয়েকটি রুটে চলছে।

৪। সত্যজিৎ রায় ধরণী 'পরশু তো ষষ্ঠী’— দুর্গাপুজো যদি বাঙালিয়ানার উদযাপন হয়ে থাকে, তবে তা সত্যজিৎ রায়কে বাদ দিয়ে হয় কী করে! আর সত্যজিৎ এবং তাঁর কাজকে ক্যামেরা বন্দি করার জায়গা হতে পারে ‘সত্যজিৎ রায় ধরণী’। বাংলা সিনেমার ‘মহারাজা’র বাড়ির পাশের রাস্তাটির নতুন নাম। যে খানে তৈরি হয়েছে তাঁকে নিয়ে ওপেন মিউজিয়াম। দেওয়ালে দেওয়ালে সত্যজিতের সিনেমার পোস্টার, তাঁর লেখা বইয়ের ইলাস্ট্রেশন। কোথাও ফেলুদার থ্রি মাস্কেটিয়ার্স, তো কোথাও হাড় হিম করা ভিলেন মগনলাল, কোথাও ভূতের রাজা তো কোথাও হীরক রাজা। পুজোয় থিমের মণ্ডপ দেখার একফাঁকে ক্যামেরা নিয়ে সেই রাস্তাও হতে পারে আপনার পুজোর ছবির গন্তব্য।

৫। উত্তর কলকাতা যে দশভূজাকে নিয়ে উৎসব, তাঁর রূপের সূচনা হয় কলকাতার এই এলাকাতেই। খড়ের কাঠামো কুমোরটুলির মাটি পেয়ে নেয় মাতৃরূপ। তবে চেনা কুমোরটুলি ছাড়াও পুজোর ছবি তোলার বহু জায়গা রয়েছে উত্তর কলকাতায়। যা বাঙালিকে তার ফেলে আসা দিনের কথা মনে করিয়ে দেয়। নকশি রেলিংয়ের ঝুল বারান্দা, জাফরি কাজের কার্নিশ, খড়খড়ি দেওয়া জানলা, খিলানে রঙিন কাচের নকশা করা দরজা, আড্ডা জমানোর রক তো আছেই। চাইলে সার দেওয়া হাতে টানা রিকশাও হতে পারে অন্য রকম পুজোর ছবির অঙ্গ। আর আছে বনেদি বাড়ির পুজো। শোভা বাজারের রাজবড়ি, পাথুরিয়া ঘটার রাজবাড়ি, দর্জি পাড়ার মিত্র বাড়ি, জোড়াসাঁকোর দাঁ বাড়ির পুজো। যেখানে পুজো দেখার পাশাপাশি বনেদিয়ানাকেও বন্দি করা যাবে ছবিতে।

আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।

PREV
Read more Articles on
click me!

Recommended Stories

বাড়িতে সবচেয়ে বেশি জীবাণু এখানেই পাওয়া যায়
বাড়ির বারান্দা সাজাতে ব্যবহার করতে পারেন এই কয়টি গাছের মধ্যে একটি, রইল তালিকা