
আজকাল বাগানের যত্নে নানা রকম রাসায়নিক সার কিনতে পাওয়া যায় বাজারে, যা আপনার গাছকে তরতর করে বাড়তে সাহায্য করবে। তবে এই রাসায়নিক সার পরিবেশবান্ধব নয়, এমনকি আপনার গাছের জন্যও খুব একটা ভালো না। তাছাড়া রাসায়নিক সারে ফলানো শাকসবজি বা ফল আমাদের শরীরের জন্য ক্ষতিকর।
তার চেয়ে বরং যে রান্নাঘরে আপনার খাবার তৈরি হয়, সেখানকার উচ্ছিষ্টই হতে পারে আপনার বাগানের গাছের খাবার। ফেলে দেওয়া ফল সবজি শাক পাতা, ফল-সবজি ও ডিমের খোসা, চায়ের পাতা - এসবই হতে পারে গাছের পুষ্টির উৎস। এগুলি দিয়েই বানানো যাবে জৈব সার, যা পরিবেশবান্ধবও বটে।
গাছের জন্য আদর্শ জৈব সার বানাবেন কীভাবে
১। ডিমের খোসা
গাছের বেড়ে ওঠার জন্য ক্যালসিয়ামও লাগে। ব্যবহার করতে পারেন ডিমের খোসা। ডিমের খোসা অনেকটা জমে গেলে, ধুয়ে, শুকিয়ে গুড়ো করে নিতে হবে। সেই গুঁড়ো ছড়িয়ে দিতে পারেন মাটিতে। এই বর্ষাকালে গাছের শিকড় পচে যাওয়া থেকে বাঁচাবে এটি। আবার গাছের চারা বসানোর আগেও মাঠে প্রস্তুত করার সময় এই গুঁড়ো মিশিয়ে নিতে পারেন গাছ ভালো হবে। টম্যাটো, বেগুন গাছ, গোলাপ, চন্দ্রমল্লিকা-সহ সব্জি এবং ফুলের গাছে এই সার ভাল কাজ করে।
২। চায়ের পাতা
চা করার পর চায়ের পাতা ফেলে না দিয়ে জমিয়ে রাখুন, তবে দুধ চিনি দিয়ে করা চা পাতা গাছের উপকারে আসে না। ব্যবহার করা চায়ের পাতা রোদে শুকিয়ে নিয়ে হাত দিয়ে হালকা চাপলেই গুঁড়ো হয়ে যায়। এবার মাটিতে মিশিয়ে জৈব সার হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। গোলাপ গাছ, অ্যাজেলিয়া, টম্যাটো ইত্যাদি গাছে এই সার দেওয়া যায়।
৩। কলার খোসা
গাছের বেড়ে ওঠায় পটাশিয়াম, ফসফরাস এই খনিজ উপাদানগুলো ভীষণ জরুরি। কলায় এই দুটি উপাদানই রয়েছে প্রচুর পরিমাণে। গাছের জৈব সার হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন কলার খোসাও। একটা প্লাস্টিক বা কাঁচের পাত্রে কলার খোসা জলে ভালো করে ভিজিয়ে রাখুন। গোটা সপ্তাহ ধরে পচতে দিন।এবার এই ত্বরণ যৌব ভালো জলের সাথে পরিমাণ মতো মিশিয়ে গাছের গোড়ায় দিন। করবী, জুঁই, কাঁচালঙ্কা, উচ্ছে, টগর-সহ একাধিক ফুল, সব্জির গাছে এই সার প্রয়োগ করতে পারেন, তরতর করে বেড়ে উঠবে গাছ।