
আজকের ব্যস্ত জীবনে ওয়াশিং মেশিন ভীষণ জরুরি হয়ে উঠেছে। অধিকাংশই এই মেশিনকে কেবল জামাকাপড় ধোয়ার জন্যই ব্যবহার করে থাকেন। কিন্তু জানেন কি, ওয়াশিং মেশিন দিয়ে শুধু জামাকাপড়ই নয়, ঘরের আরও অনেক কিছু ধুয়ে ফেলা সম্ভব—যা হয়তো আপনি কল্পনাও করেননি?
জেনে নেওয়া যাক এমন কিছু জিনিস যা আপনি নিশ্চিন্তে ওয়াশিং মেশিনে কাচতে পারেন:
১. পর্দা ও বিছানার চাদর
পর্দা, কুশনের কভার এবং বিছানার চাদর এধরণের কাপড় ওয়াশিং মেশিনে কাচা নিরাপদ। তবে ভারী পর্দা বা এমব্রয়ডারিযুক্ত কাপড় ধোয়ার আগে ‘ডেলিকেট’ সেটিং ব্যবহার করাই ভালো। পর্দায় ধাতব কিছু বা রিং গুলো থাকলে তার দড়ি দিয়ে বেঁধে তবেই মেশিনে দেবেন।
২. প্লাশ টয় (নরম খেলনা)
বাচ্চাদের প্রিয় প্লাশ টয়গুলো নিয়মিত পরিষ্কার রাখা জরুরি। ওয়াশিং মেশিনের ‘জেন্টল সাইকেল’-এ মাইল্ড ডিটারজেন্ট দিয়ে এগুলো ধোয়া যায়। অতিরিক্ত রক্ষণাবেক্ষণের জন্য একটি কোল্ড ওয়াশ বেছে নিতে পারেন।
৩. জুতার ফিতে ও টুপি, টাওয়াল
ঘাম, ধুলো-ময়লা লেগে জুতার ফিতে, টুপি টাওয়াল ময়লা হলে যায়। এগুলো মেশিনে কাচা সম্ভব, তবে একটি লন্ড্রি ব্যাগের ভেতর রেখে ধুলে সুবিধে বেশি।
৪. বাথরুম ও ডোর ম্যাট, যোগাসনের ম্যাট
রাবারের ম্যাট ছাড়া হালকা কোনো ম্যাট বা তুলার তৈরি ডোর ম্যাট ওয়াশিং মেশিনে কাচা যায়। এগুলোর ক্ষেত্রে হেভি ডিউটি সাইকেল ব্যবহার করতে পারেন।
৫. ব্যাকপ্যাক ও ক্যানভাস ব্যাগ
ক্যানভাস বা নাইলনের ব্যাকপ্যাক যদি খুব বেশি ভারী না হয়, তবে এগুলো মেশিনে কাচা যায়। কাপড়ের নরম ব্যাগ হলে তো নির্দ্বিধায় কাচতে পারেন। তবে মেশিনে দেওয়ার আগে অবশ্যই খালি করে নিতে হবে এবং ব্যাগটি উল্টে দিয়ে ধোয়া উচিত।
৬. কুকুর বা বিড়ালের বিছানা, গলার বেল্ট
পোষা প্রাণীর ব্যবহৃত কাপড় বা বিছানা, গলার বেল্ট নিয়মিত কাচা দরকার। এগুলোও ওয়াশিং মেশিনেই ধোয়া যায়, তবে পশম জমে যেতে পারে, তাই আগে ভালভাবে ঝেড়ে নিতে হবে।
সতর্কতা
* ধোয়ার আগে সবসময় ট্যাগ দেখে নিয়ে সামগ্রীর উপকরণ ও ধোয়ার পদ্ধতি দেখে নিন।
* জিপার বা বোতাম লাগানো আছে কি না চেক করুন।
* খুব বেশি ভারী কিছু বা ধাতব জিনিস কখনও মেশিনে দিবেন না।
* ডিটারজেন্ট ব্যবহারে পরিমাণ ও ধরন অনুযায়ী সতর্ক থাকুন।