
আকাশে-বাতাসে বইছে প্রেম। চারিদিকে পালিত হচ্ছে প্রেম দিবস। আজ ১৪ ফেব্রুয়ারি পালিত হচ্ছে ভ্যালেন্টাইন্স ডে। সকলেই তাঁর ভালোবাসার মানুষকে উপহার দিচ্ছেন। তেমনই দিনটি কাটাচ্ছেন একেবারে ভিন্ন ভাবে। তবে জানেন কি কেন ভ্যালেন্টাইন্স ডে পালিত হয় এই ১৪ ফেব্রুয়ারি?
ভ্যালেন্টাইন্স ডে ধারণাটি রোমান উৎসব লুপারক্যালিয়া থেকে উদ্ভূত। যা ১৩ থেকে ১৫ ফেব্রুয়ারি পালিত হত। পরে ৫ম শতাব্দীর শেষের দিকে এই প্রথাটি বিলুপ্ত হয়ে যায়। পোপ গ্যালাসিয়াস প্রথম সেন্ট ভ্যালেন্টাইন্স ডে পালন করেন।
প্রচলিত ধারণা অনুসারে সেন্ট ভ্যালেন্টাইন্স ছিলেন একজন পুরোহিত। যিনি দম্পতিদের গোপনে বিয়ে দিতে সাহায্য করতেন। সেই সময় শাসনকারী রোমান সম্রাট দ্বিতীয় ক্লডিয়াস পুরুষদের বিয়ে করার অনুমতি দিতেন না। তিনি একটি আইন তৈরি করেন। যাতে বলা হয়েছিল, সেনাবাহিনীতে চাকরি করা যুবকেরা বিয়ে করতে পারবে না। ধর্মযাজক সেন্ট ভ্যালেন্টাইন যখন এই আইন সম্পর্কে জানতে পারেন তখন তিনি বুঝতে পেরেছিলেন যে এই আইনটি অন্যায়। তাই যে সকল সৈন্যরা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হতে চায় তাদের গোপনে বিয়ে দিতেন তিনি। পাশাপাশি তিনি অন্যান্য লোকেদের মধ্যেও ভালোবাসা জাগিয়ে তুলতে প্রচার শুরু করেন। কিন্তু, খুব তাড়াতাড়ি দ্বিতীয় ক্লডিয়ার সেন্ট ভ্যালেন্টাইনের এই কাজ সম্পর্কে জানতে পারেন এবং শাসকের নির্দেশে সেন্ট ভ্যালেন্টাইন্সের শিরোচ্ছেদ করা হয়। তাঁকে সম্মান জানাতেই পালিত হয় ভ্যালেন্টাইন্স ডে।
জানেন কি কেন এই দিবস পালন করা হয়?
পঞ্চালশ শতাব্দীতে প্রেম নিবেদনের জন্য ভালাবাসা শব্দটি প্রেমের কবিতা এবং গল্পগুলোতে ব্যবহার হত। ভ্যালেন্টাইন নামসহ বেশ কিছু বই, গল্প ও কবিতা ছিল। উনিশ শতকের মাঝামাঝি সময় লেখাগুলো গ্রিটিংস কার্ডের মাধ্যমে প্রচারিত হত।
এই দিনটি পালনে বিশেষ উদ্দেশ্য আছে। প্রিয়জনকে কয়েকটা দিন উৎসর্গ করা হয় ভালোবাসা দিবস পালনের উদ্দেশ্য। আপনার জীবনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকেন এমন ব্যক্তিকে এই দিনে ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা জানানো হয়ে থাকে।