
আমাদের অনেকেই রাতে ভাতের বদলে রুটি খেয়ে থাকি। এতে ওজন সহজেই কমে যায় বলে আমরা বিশ্বাস করি। শুধু ওজন কমানোর জন্যই নয়, নিয়মিতভাবে দেশজুড়ে অনেকেই রুটিকে প্রধান খাবার হিসেবে গ্রহণ করেন। কেউ কেউ একে চাপাতি বলে আবার কেউ রুটি বলে। আসলে, প্রতি রাতে রুটি খেলে কী হয়, এখন তা জেনে নেওয়া যাক...
রুটির পুষ্টিগুণ..
রাতে রুটি খেলে আমরা কিছু পুষ্টি পেতে পারি। রুটিতে আঁশ থাকে যা হজমে সাহায্য করে। দ্রুত পেট ভরে যায়। এতে কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, ভিটামিন এবং খনিজ পদার্থ থাকে।
ওজন বৃদ্ধি..
অনেকে ওজন কমানোর জন্য রুটি বা চাপাতি খেয়ে থাকেন। তবে কোন আটার রুটি খাচ্ছি তা গুরুত্বপূর্ণ। ময়দার রুটি স্বাস্থ্যের জন্য ভালো নয়। আবার খাঁটি গমের আটার রুটিও বেশি খেলে ওজন বাড়তে পারে। রুটির কার্বোহাইড্রেট শরীর ব্যবহার না করলে তা চর্বিতে পরিণত হয়। রাতে খেলে বিপাকক্রিয়াও উন্নত হয়।
পাচনতন্ত্রের স্বাস্থ্য:
প্রতি রাতে রুটি খাওয়ার সময় পাচনতন্ত্রের উপর এর প্রভাব বিবেচনা করা উচিত। রুটির আঁশ নিয়মিত মল ত্যাগে সাহায্য করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করে। তবে রাতে দেরিতে খাওয়া হজমে ব্যাঘাত ঘটাতে পারে। কেউ কেউ রাতে রুটি খাওয়ার পর বদহজম, পেট ফাঁপা বা অম্বল অনুভব করতে পারেন। এতে অস্বস্তি এবং ঘুমের ব্যাঘাত ঘটতে পারে।
রক্তে শর্করার মাত্রা...
যাদের ডায়াবেটিস আছে বা ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি আছে, তাদের প্রতি রাতে রুটি খাওয়ার ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। রুটির কার্বোহাইড্রেট রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়াতে পারে, বিশেষ করে যদি পর্যাপ্ত প্রোটিন বা আঁশ ছাড়া খাওয়া হয়।
পুষ্টি শোষণ:
রাতে রুটি খাওয়া দিনের অন্যান্য খাবার থেকে পুষ্টি শোষণকেও প্রভাবিত করতে পারে। পুষ্টি শোষণে সময় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। রাতে দেরিতে রুটি খেলে দিনের খাবার থেকে প্রয়োজনীয় ভিটামিন ও খনিজ শোষণের ক্ষমতা কমে যেতে পারে।