শেফালী জারিওয়ালার মতো যেকোনও মুহূর্তে আপনারও হতে পারে কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট! এই রোগের প্রাথমিক লক্ষণ জানা না থাকলেই বিপদ

Published : Jun 28, 2025, 01:52 PM IST
Cardiac arrest vs heart attack

সংক্ষিপ্ত

শেফালী জারিওয়ালার মতো যেকোনও মুহূর্তে আপনারও হতে পারে কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট! এই রোগের প্রাথমিক লক্ষণ জানা না থাকলেই বিপদ

টিভি এবং বলিউডের বিখ্যাত অভিনেত্রী শৈফালী জারিওয়ালার আকস্মিক মৃত্যুর খবরে সবাই স্তব্ধ। রিপোর্ট অনুযায়ী, ৪২ বছর বয়সী শৈফালীর মৃত্যু হয়েছে কার্ডিয়াক অ্যারেস্টে।

তাঁকে সঙ্গে সঙ্গে তাঁর স্বামী হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু চিকিৎসকেরা তাকে মৃতবলে ঘোষণা করেন। তাঁর মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মুম্বাইয়ের কুপার হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট কিন্তু শুধুমাত্র বয়স্কদের রোগ নয়। স্ট্রেস, জীবনযাত্রা, জেনেটিক্স এবং হার্টের স্বাস্থ্যকে অবহেলা করলেই এই রোগ দেখা দিতে পারে।

কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট কী, এর লক্ষণ কী এবং এটি হার্ট অ্যাটাক থেকে কীভাবে আলাদা?

Cardiac Arrest হল একটি মেডিকেল জরুরি অবস্থা যেখানে হৃৎপিণ্ড হঠাৎ করে স্পন্দন বন্ধ করে দেয় অথবা এত দ্রুত স্পন্দিত হয় যে এটি রক্ত পাম্প করা বন্ধ করে দেয়।

এর লক্ষণ হল ব্যক্তি হঠাৎ করে অজ্ঞান হয়ে পড়ে যায়। শ্বাস-প্রশ্বাস বন্ধ হয়ে যেতে পারে অথবা নাড়ির স্পন্দন অনুভূত হয় না। চিকিৎসকেরা একে Sudden Cardiac Arrest (SCA) বলে। কারণ এর লক্ষণ কোনও পূর্ব সতর্কতা ছাড়াই শুরু হয়। এর তাৎক্ষণিক চিকিৎসা না হলে এটি প্রাণঘাতী হতে পারে।

Cardiac Arrest কেন বিপজ্জনক?

কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের সময় হৃৎপিণ্ড রক্ত পাম্প করা বন্ধ করে দেয়, যার ফলে মস্তিষ্ক এবং শরীরের অন্যান্য অঙ্গে অক্সিজেন পৌঁছয় না। যার ফলে কয়েক মিনিটের মধ্যেই মস্তিষ্কের ক্ষতি হতে পারে। এই ক্ষেত্রে তাৎক্ষণিক CPR এবং Defibrillation না পেলে ব্যক্তির মৃত্যু হয়। বিশেষজ্ঞদের মতে ৯৫% কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট প্রাণঘাতী।

হার্ট অ্যাটাক কী? (What is Heart Attack)

হার্ট অ্যাটাক (myocardial infarction) তখন হয় যখন হৃৎপিণ্ডে রক্ত প্রবাহ বন্ধ হয়ে যায়। এর কারণ ধমনীতে plaque build-up অথবা blood clot, যার ফলে হৃৎপিণ্ডের পেশীতে অক্সিজেন পৌঁছয় না এবং ক্ষতিগ্রস্ত হতে শুরু করে। এর লক্ষণ বুকে ব্যথা বা চাপ, শ্বাসকষ্ট, ঘাম হওয়া, বমি বমি ভাব এবং কাঁধে ব্যথা।

কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের সতর্কতা লক্ষণগুলি কী হতে পারে?

কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট প্রায়শই কোনও সতর্কতা ছাড়াই ঘটে, তবে কিছু লোক আগে থেকেই এই লক্ষণগুলি অনুভব করতে পারে।

– অত্যধিক ক্লান্তি (Extreme fatigue)

– শ্বাসকষ্ট (Breathlessness)

– অজ্ঞান হওয়া বা মাথা ঘোরা

– বুক ধড়ফড় (Palpitations)

– বুকে ব্যথা (Chest pain)

হার্ট অ্যাটাক এবং কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের মধ্যে পার্থক্য কী? (Cardiac Arrest vs Heart Attack)

হার্ট অ্যাটাক তখন হয় যখন হৃৎপিণ্ডে রক্ত প্রবাহ বন্ধ হয়ে যায়, অর্থাৎ ধমনীতে প্রতিবন্ধকতার কারণে হৃৎপিণ্ডের পেশীতে অক্সিজেন পৌঁছয় না। এই ক্ষেত্রে হৃৎপিণ্ডের স্পন্দন চলতে থাকে, কিন্তু ব্যক্তি বুকে ব্যথা, শ্বাসকষ্ট, ঘাম হওয়া এবং উদ্বেগ যেমন লক্ষণগুলি ধীরে ধীরে অনুভব করে।

অন্যদিকে, কার্ডিয়াক অ্যারেস্টে হৃৎপিণ্ডের স্পন্দন হঠাৎ সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায়। হার্ট অ্যাটাকে তাৎক্ষণিক হাসপাতাল চিকিৎসার প্রয়োজন যাতে রক্ত প্রবাহ আবার শুরু করা যায়, তবে কার্ডিয়াক অ্যারেস্টে তাৎক্ষণিক CPR এবং Defibrillation দেওয়া প্রয়োজন, যাতে হৃৎপিণ্ডের স্পন্দন আবার শুরু হয়। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কথা হল হার্ট অ্যাটাকের পর কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হওয়ার ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়। তবে উভয়ই আলাদা মেডিকেল জরুরি অবস্থা যার সময়মতো সঠিক চিকিৎসা প্রাণ বাঁচাতে পারে।

PREV
Read more Articles on
click me!

Recommended Stories

বাড়িতে সবচেয়ে বেশি জীবাণু এখানেই পাওয়া যায়
বাড়ির বারান্দা সাজাতে ব্যবহার করতে পারেন এই কয়টি গাছের মধ্যে একটি, রইল তালিকা