রান্নাঘরে এমন অনেক জিনিস আছে যার সঠিক ব্যবহার আমরা জানি না। এমন অনেক জিনিস রয়েছে যার মধ্যেই লুকিয়ে রয়েছে হাজার রোগের ওষুধ। তার মধ্যে একটি হল বেকিং সোডা। রান্নাঘরে গৃহিনীদের অতি পরিচিত একটি জিনিস হল বেকিং সোডা। প্রাচীনকালে বেকিং সোডা সাবান হিসেবে ব্যবহার করা হত। কিন্তু বর্তমানে রান্নার কাজে এটিকে ব্যবহার করা হয়। তবে রান্নার বাইরে এর কিছু বিশেষ গুণ রয়েছে যা হাজারে রোগ নিরাময়ে সাহায্য করে।
বেকিং সোডার আসল নাম সোডিয়াম বাই কার্বনেট রয়েছে। বেকিং সোডা প্রাকৃতিক অম্লনাশক। দৈনন্দিন জীবনে অনেক মুশকিল আসান করে এই সোডা।
অ্যাসিড নিঃসরণ হল শরীরের একটি সাধারণ ঘটনা। বেকিং সোডার মধ্যে সোডিয়াম বাইকার্বনেট থাকার জন্য অম্বলের সমস্যা এবং পেটের অন্যান্য সমস্যা মেটাতে সাহায্য করে।
অনেকেরই দাঁত হলুদ হয়ে গেছে। সেই হলুদ দাঁত সাদা করতে টুথপেস্টের বদলে বেকিং সোডা দিয়ে দাঁত মেজে নিন,দেখবেন ঝকঝকে সাদা হয়ে যাবে দাঁত।
জলের মধ্যে সোডা মিশিয়ে কুলকুচি করলে তা মাউথ ফ্রেশনারের কাজ করে।
বাচ্চা কিংবা বড় স্নানের সময় জলের মধ্যে বেকিং সোডা মিশিয়ে নিলে ত্বকের ইনফেকশন থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
ট্যান পড়ে যাওয়া অংশে বেকিং সোডা লাগিয়ে ১০-১৫ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন।
চুলের রুক্ষতা , খুশকি দূর করতে বেকিং সোডা অত্য়ন্ত উপকারী।
মূত্রনালির সংক্রমণ উপশম করার জন্য অন্যতম একটি ঘরোয়া পদ্ধতি হল বেকিং সোডা ও জলের মিশ্রণ।
পোকামাকড় কামড়ালে সেই জায়গায় গরম জলের মধ্যে বেকিং সোডা মিশিয়ে পেস্ট বানিয়ে লাগিয়ে রাখুন দেখবেন ব্যাথা সেরে যাবে।
শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ বেড়ে গেলে সারা শরীরে অসহ্য যন্ত্রণা হয়। যার থেকে গাঁটে গাঁটে ব্যথা দেখা যায়। এই ব্যথা সারাতেও দারুণ কার্যকরী বেকিং সোডা।
অতিরিক্ত ব্যায়াম করলে শরীরে ল্যাকটিক অ্যাসিড জমতে পারে। যার ফলে শরীরে পেশিগত কাঠিন্যতা দেখা যায়। এই সমস্যার প্রতিষেধক হিসেবে বেকিং সোডা খুবই কার্যকরী। জলের সাথে বেকিং সোডা মিশ্রণ খুবই উপকারী।
শরীর থেকে অম্লের পরিমাণ কমাতে এবং পিএইচের ভারসাম্য ঠিক রাখতে সাহায্য করে বেকিং সোডা।