নাহ্। দুধে-ভাতে থাকার রাস্তা আর খোলা থাকছে না। নতুন গবেষণা যা বলছে, তাতে করে রীতিমতো শিউরে উঠতে হচ্ছে।
সম্প্রতি লোমা লিন্ডা ইউনিভারসিটি হেল্থের গবেষকরা সাফ জানাচ্ছেন, ডেয়ারি মিল্ক খেলে মহিলাদের ব্রেস্ট ক্য়ানসারের সম্ভাবনা বাড়ে। শুধু তাই নয়, দিনে মাত্র সিকিকাপ দুধ খেলেও এই ঝুঁকি বাড়ে বলে জানাচ্ছেন গবেষকরা। আর দুধের পরিমাণ যত বাড়বে, ততই বাড়বে এর ঝুঁকি।বলা হচ্ছে, ডেয়ারি মিল্ক বা তার মতো কোনও কিছুর সঙ্গে ব্রেস্ট ক্য়ানসারের ঝুঁকি মিশে রয়েছে। ইনটারন্য়াশনাল জার্নাল অব এপিডেমোলজিতে প্রকাশিত প্রবন্ধ থেকে জানা গিয়েছে এমনই এক গবেষণার কথা।
কেউ যদি ভাবেন, পরিমাণে অল্প খেলে সমস্য়ায় পড়তে হবে না, তাহলে ভুল ভাবছেন। কারণ গবেষকরা বলছেন, মাত্র সিকিকাপ দুধও যদি দিনে খাওয়া যায়, তাহলে ব্রেস্ট ক্য়ানসারের ঝুঁকি বাড়ে। নির্দিষ্ট করে বলা হচ্ছে, সিকিকাপ থেকে শুরু করে এককাপের তিনভাগের একভাগ দুধ খেলেও ৩০শতাংশ ঝুঁকি বাড়ে ব্রেস্ট ক্য়ানসারের। গ্য়ারি ই ফ্রেজার তাঁর প্রবন্ধে এরপর লিখছেন, দিনে এককাপ খেলে ব্রেস্ট ক্য়ানসারের ঝুঁকি বাড়ে ৫০ শতাংশ। আর যাঁরা দিনে দুই থেকে তিনকাপ দুধ খান, তাঁদের ক্ষেত্রে এই রোগের ঝুঁকি বাড়ে ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ।
প্রসঙ্গত, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের চালু ডায়েটারি নির্দেশিকা বলছে, দিনে দুই থেকে তিনকাপ দুধ খেতে। আর গবেষণায় দেখা যাচ্ছে, যার ফলে ব্রেস্ট ক্য়ানসারের ঝুঁকি বেড়ে যাচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ অবধি।
বলাই বাহুল্য়, দুধ শুধু মার্কিন মুলুকেই নয়, আমাদের এই বাংলাতেও এটি বহুল প্রচলিত একটি খাদ্য় এবং পানীয়। বাঙালির চিরন্তন চাওয়া পাওয়ার মধ্য়েই তো রয়েছে, আমার সন্তান যেন থাকে দুধেভাতে। অথচ, একদিকে বেড়ে চলেছে এই দুধের দাম, অন্য়দিকে আবার ক্য়ানসারের চোখ রাঙানি। শুধু তাই নয়, কথায় আছে 'দুগ্ধপোষ্য় শিশু'। হতদরিদ্র পরিবারের মানুষও শিশুর জন্য় হন্য়ে হয়ে ঘোরে একটু দুধ জোগাড় করতে। এমতাবস্থায়, এই গবেষণা রীতিমতো কপালে ভাঁজ ফেলে দিল গরিব থেকে বড়লোক, সবার।