সারা বিশ্ব জুড়ে বর্তমানে আতঙ্কের আরেক নাম করোনা ভাইরাস। প্রতি মুহূর্তে সারা বিশ্বে এই রোগের আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে চলেছে। ইতিমধ্যেই এই রোগকে মহামারি বলে চিহ্নিত করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। চিনে এই রোগের উৎপত্তি হলেও ধীরে ধীরে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পরেছে এই মারণ রোগ। করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা সারা বিশ্ব জুড়ে প্রায় ৯৬,৪৮১ তে পৌঁছেগিয়েছে। চিনের বাইরেও ইতালিতে এই ভাইরাস মারণ থাবা বসিয়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে যে কোনও ধরণের সমাবেশ নিষিদ্ধ করা করেছে সে দেশের সরকার।
আরও পড়ুন- বিশ্ব জুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে মারণ করোনা, আক্রান্ত ৯৫,০০০ বেশি মানুষ
আরও পড়ুন- করোনা ভাইরাস ঠেকাতে রইল ৯টি বিশেষ উন্নতমানের মাস্কের হদিশ
করোনা থেকে বাঁচতে তাই বিশ্বের বৃহত্তম অংশের কাজ করার পরিকল্পনা করছে "ওয়ার্ক ফ্রম হোম" পদ্ধতিতে। চায়নাতে বেশিরভাগ সংস্থার তরফ থেকে জানানো হয়েছে এটা কোনও সুযোগ নয় বরং জীবন বাঁচাতে এই পদ্ধতি এখন প্রয়োজন হয়ে দাঁড়িয়েছে। দোকান থেকে শুরু করে কারখানা, হোটেল, রোস্তোরাঁতে নগদ অর্থের লেনদেন পরিষেবা প্রায় নিষিদ্ধ, সমস্ত কাজ ডিজিটাল ভাবে সম্পন্ন করতে তৎপর বিশ্বের বেশিরভাগ ছোট-বড় সংস্থা। ভিডিও চ্য়াটিং এর সাহায্যে প্রয়োজনীয় ক্লায়েন্ট মিটিং বা গ্রুপ মিটিং সারতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে।
আরও পড়ুন- করোনা ভাইরাস আতঙ্কে নয়া কোপ বাজারে, ঘাটতি হ্যান্ড স্যানিটাইজারের
শুক্রবার সাংহাইয়ের বিজ্ঞাপণ সংস্থা রিপ্রাইজ ডিজিটালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক অ্যালভিন ফু জানিয়েছেন, "কর্মরত ব্যক্তিদের মধ্যে সবচেয়ে উদ্বেগজনক কারণগুলির মধ্যে একটি হ'ল ভাইরাসটির দ্রুত পরিবর্তনশীল প্রভাব। অফিস যাতায়াতের পথে বা অফিসে সহকর্মীদের সঙ্গে দীর্ঘ সময় অবধি কাজ করাই বিশেষ উদ্বেগের বিষয়। সারা বিশ্বে কয়েকদিনের মধ্যেই ওয়ার্ক ফ্রম হোম পদ্ধতিতে কাজের পরিমান আরও বিরাট আকার নিতে চলেছে। বর্তমানে সময়ে চীনে নববর্ষের আমেজ চলছে তা শেষ হলেই ক্রমশ ছুটির পরিমান আরও বৃদ্ধি পাবে। কর্মীরা তাদের ছুটির সময় বাড়াবে। এতে বিভিন্ন সংস্থার বিপুল ক্ষতির মুখে পড়তে চলেছে। তাই এই সঙ্কট কাটাতে ও প্রাণের ঝুঁকি কমানোর জন্যই বিভিন্ন সংস্থা কীভাবে ওয়ার্ক ফ্রম হোম পদ্ধতিতে কাজ এগোনো যেতে পারে সেই বিষয়ে চিন্তা ভাবনা করা প্রয়োজন হয়ে দাঁড়িয়েছে।"