শিশুর স্মৃতিশক্তি বাড়াবেন কীভাবে? জেনে নিন ১০ টি দৈনন্দিন অভ্যাস

Published : Jul 22, 2025, 02:31 PM IST

শিশুরা যাতে পড়াশোনায় মনোযোগ দিতে পারে এবং ভালো নম্বর পায় তার জন্য তাদের স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করা অপরিহার্য। এর জন্য তাদেরকে দৈনন্দিন ১০ টি অভ্যাস অনুসরণ করতে শেখাতে হবে। এই অভ্যাসগুলি তাদের জীবনে বড় পরিবর্তন আনবে।

PREV
110
পর্যাপ্ত ঘুম:

মস্তিষ্কের জন্য বিশ্রাম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শিশুদের প্রতিদিন কমপক্ষে ৮ থেকে ১০ ঘন্টা গভীর ঘুম প্রয়োজন। পর্যাপ্ত ঘুম দিনে শেখা বিষয়গুলি মস্তিষ্কে ধরে রাখতে এবং পরের দিন পড়াশোনার সময় মনোযোগ বাড়াতে সাহায্য করে। ঘুম কম হলে মনোযোগ ব্যাহত হয় এবং পড়া মনে রাখা কঠিন হয়ে পড়ে।

210
পুষ্টিকর সকালের খাবার:

সকালের জলখাবার দিনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ খাবার। এটি মস্তিষ্কের জন্য প্রয়োজনীয় গ্লুকোজ এবং শক্তি সরবরাহ করে। পুষ্টিকর সকালের জলখাবার যেমন- গোটা শস্য, ফল, দুধ ইত্যাদি খাওয়া শিশুরা ক্লাসরুমে অনেক বেশি সক্রিয় এবং মনোযোগী থাকে। সকালের জলখাবার না করলে ক্লান্তি এবং অমনোযোগিতা দেখা দেয়।

310
প্রতিদিন পড়া:

পাঠ্যপুস্তক ছাড়াও, প্রতিদিন কমপক্ষে ২০ মিনিট গল্পের বই, সংবাদপত্র বা তাদের পছন্দের অন্য কোন বই পড়ার অভ্যাস করান। এটি তাদের শব্দভাণ্ডার বৃদ্ধি করে, বাক্য গঠন বুঝতে সাহায্য করে এবং কল্পনাশক্তি বিকাশ করে। পড়ার অভ্যাস সব বিষয় সহজে বুঝতে সাহায্য করে।

410
প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করা:

ক্লাসরুমে বা বাড়িতে পড়াশোনার সময় কোন সন্দেহ হলে তাৎক্ষণিকভাবে প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করে সমাধান করতে শিশুদের উৎসাহিত করা উচিত। প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করা দেখায় যে তারা পড়াশোনায় কতটা মনোযোগী। এটি তাদের চিন্তাশক্তিকে উদ্দীপিত করে এবং মুখস্থ করার পরিবর্তে বিষয়গুলি গভীরভাবে বুঝতে সাহায্য করে।

510
পরিকল্পনা করে পড়াশোনা:

প্রতিদিন স্কুলে পড়ানো বিষয়গুলি বাড়িতে ফিরে একবার পুনরালোচনা করা খুবই ভালো অভ্যাস। পরীক্ষার সময় একসাথে পড়ার বোঝা কমাতে এবং মানসিক চাপ এড়াতে এটি সাহায্য করে। প্রতিদিন একটি নির্দিষ্ট সময় বাড়ির কাজ এবং পুনরালোচনার জন্য বরাদ্দ করা উচিত।

610
ব্যায়াম এবং খেলাধুলা:

শিক্ষার জন্য শারীরিক সুস্থতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিদিন কমপক্ষে এক ঘন্টা দৌড়াদৌড়ি, খেলাধুলা বা ব্যায়াম করা প্রয়োজন। এটি মস্তিষ্কে রক্ত ​​সঞ্চালন বৃদ্ধি করে, উদ্দীপনা এবং মানসিক প্রশান্তি দেয়। ফলে, পড়াশোনার সময় মনোযোগ বৃদ্ধি পায় বলে গবেষণায় দেখা গেছে।

710
স্ক্রিনের সময় সীমিত করা:

মোবাইল ফোন, টেলিভিশন, কম্পিউটারে অতিরিক্ত সময় ব্যয় করা অবশ্যই কমানো উচিত। অতিরিক্ত স্ক্রিনের সময় শিশুদের দৃষ্টিশক্তিকে ক্ষতিগ্রস্ত করার সাথে সাথে তাদের মনোযোগ এবং ঘুমের প্যাটার্নকেও ব্যাহত করে। পড়াশোনার সময় এবং ঘুমানোর সময় স্ক্রিন ব্যবহার সম্পূর্ণ বন্ধ করা উচিত।

810
পর্যাপ্ত জল পান করা:

আমাদের মস্তিষ্কের কার্যকারিতার জন্য জল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শিশুরা যেন সারাদিন পর্যাপ্ত জল পান করে তা নিশ্চিত করতে হবে। শরীরে জলশূন্যতা দেখা দিলে ক্লান্তি, মাথাব্যথা এবং অমনোযোগিতা দেখা দিতে পারে। এটি তাদের শেখার ক্ষমতাকে প্রত্যক্ষভাবে প্রভাবিত করে।

910
নিজের জিনিস গুছিয়ে রাখা:

নিজের জিনিসপত্র সুবিন্যস্তভাবে রাখার অভ্যাস মনকে শান্ত রাখতে সাহায্য করে। পরের দিন স্কুলের জন্য প্রয়োজনীয় বই, পোশাক ইত্যাদি আগের দিনই রেডি করে রাখলে সকালে অপ্রয়োজনীয় উত্তেজনা কমে। এই সুবিন্যস্ত থাকার দক্ষতা পড়াশোনায় পরিকল্পনা করে কাজ করতে সাহায্য করে।

1010
অভিভাবকদের সাথে আলোচনা:

প্রতিদিন স্কুলে ঘটে যাওয়া আকর্ষণীয় ঘটনা, সমস্যা, শেখা বিষয়গুলি অভিভাবকদের সাথে আলোচনা করার অভ্যাস শিশুদের করতে হবে। এই আলোচনা তাদের মানসিক সমর্থন দেয় এবং সমস্যা সমাধানের আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি করে।

Read more Photos on
click me!

Recommended Stories