সন্তানকে কীভাবে সুশিক্ষা ও সময় দিয়ে মানুষ করবেন চাকুরীজীবী বাবা মায়েরা? রইল টিপস

Published : Feb 10, 2025, 05:42 PM IST

কর্মজীবন এবং সন্তান লালন-পালন দুটোই একসাথে সামলানো কঠিন। কিন্তু অসম্ভব নয়। ৭টি সহজ উপায়ে দুটোর মধ্যে সঠিক ভারসাম্য বজায় রাখা সম্ভব। কীভাবে তা জেনে নিন।

PREV
18

প্রায়শই কাজের চাপের কারণে আমরা আমাদের সন্তানদের প্রতি মনোযোগ দিতে পারি না। ফলে মানসিক শান্তিও নষ্ট হয়। কর্মজীবন এবং সন্তান লালন-পালন দুটোই একসাথে সামলানো সহজ নয়, এটা সত্য। কিন্তু দুটোর মধ্যে একটি বেছে নেওয়া সম্ভব নয়। দুটোই একসাথে সামলাতে হবে। তাই কাজ এবং সন্তান লালন-পালনে দক্ষ হতে কী করতে হবে, সেটাই প্রশ্ন। দুটোর মধ্যে সঠিক ভারসাম্য তৈরি করতে সাহায্য করবে এমন ৭টি সহজ উপায় দেখে নেব।

28

যেভাবে কোম্পানিগুলোর একটি লক্ষ্য থাকে, ঠিক তেমনি আপনার পরিবারের জন্যও একটি লক্ষ্য তৈরি করতে পারেন। আপনার সঙ্গী এবং সন্তানদের সাথে বসে কথা বলুন। পরিবারের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করুন। প্রতি সপ্তাহান্তে আপনার সন্তানদের সাথে মানসম্পন্ন সময় কাটানোর পরিকল্পনা করুন। স্পষ্ট লক্ষ্য থাকলে আপনার মনোযোগ অন্যদিকে যাবে না।

38

সন্তানদের সাথে থাকার জন্য সবসময় ঘণ্টার পর ঘণ্টা সময় ব্যয় করার প্রয়োজন নেই। ছোট কিন্তু গভীর কথোপকথন করুন। সকালের নাস্তার সময় ছোট্ট আলাপ, অফিসে যাওয়ার আগে একটি আন্তরিক আলিঙ্গন অথবা ঘুমানোর আগে ৫ মিনিট কথা বলা - এমন ছোট ছোট মুহূর্তগুলো আপনার সন্তানের সাথে আপনার সম্পর্ককে দৃঢ় করতে অনেক সাহায্য করবে।

48

সব কাজ নিজেই করতে হবে এমন কোনো কথা নেই। পরিবারের সদস্য বা বন্ধুদের কাছে সাহায্য চাওয়ার কোনো দোষ নেই, তা সে বাজার-সদাই করা হোক, বাচ্চা দেখাশোনা হোক বা রান্না করা হোক। এতে আপনার মূল্যবান সময় বাঁচবে, যা আপনি আপনার পরিবার বা নিজের যত্ন নিতে ব্যবহার করতে পারবেন।

58

আজকাল অনেক কোম্পানি পিতামাতার জন্য সুবিধা প্রদান করে, যেমন ডে-কেয়ার, পিতামাতার ছুটি এবং পরামর্শ সেবা। এগুলোর পূর্ণ সুযোগ নিন, কারণ এগুলো আপনাকে সাহায্য করার জন্যই তৈরি করা হয়েছে। আপনার অফিসের অন্যান্য পিতামাতার সাথে যোগাযোগ করুন, তাদের অভিজ্ঞতা এবং পরামর্শ থেকে শিখুন এবং একটি সহায়ক গোষ্ঠী তৈরি করুন।

68

বাচ্চারা পরিবারের অংশ এবং তারা সিদ্ধান্ত গ্রহণে অংশগ্রহণ করতে চায়। সপ্তাহান্তের খাবারের পরিকল্পনা হোক বা পরিবারের বাইরে বেড়াতে যাওয়া হোক, তাদেরকেও সিদ্ধান্ত নিতে দিন। এতে তারা নিজেদের গুরুত্বপূর্ণ মনে করবে এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণের দক্ষতাও বিকশিত করবে।

78

কোনোরকম ব্যাঘাত ছাড়াই কাজ এবং পিতামাতার দায়িত্ব পালন করার জন্য কিছু সময় "মনোযোগী সময়" নির্ধারণ করুন। উদাহরণস্বরূপ, সন্ধ্যায় দুই ঘণ্টা সময় নির্ধারণ করুন যেখানে কোনো অফিসের কাজ থাকবে না এবং সম্পূর্ণ মনোযোগ পরিবারের প্রতি থাকবে। একইভাবে, দিনের মধ্যে কিছু সময় নির্ধারণ করুন যেখানে আপনি কোনো ব্যাঘাত ছাড়াই আপনার কাজে মনোযোগ দিতে পারবেন। এতে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি পাবে এবং ব্যক্তিগত জীবনও ভারসাম্যপূর্ণ থাকবে।

88

ভারসাম্য বজায় রাখতে, নিজের যত্ন নেওয়াও জরুরি। নিজেকে অগ্রাধিকার দেওয়ার কোনো দোষ নেই। তা সে কয়েক মিনিট বিরতি নেওয়া হোক, যোগব্যায়াম করা হোক বা কোনো শখ উপভোগ করা হোক।

click me!

Recommended Stories