প্রাচীন হিন্দু শাস্ত্রেও পরীক্ষায় ভাল ফল করা আর নম্বর কীভাবে বাড়ানো যায় তার টিপস দেওয়া ছিল।
দ্রুতগতির বিশ্বে সকলেই পরীক্ষায় ভাল ফল করতে চায়। আর সেই কারণে সন্তান যাতে পিছেয়ে না পড়ে তাই বর্তমানে ছেলেমেয়েদের পড়াশুনার সঙ্গে প্রায় প্রত্যক্ষভাবে জড়িয়ে থাকে বাবা মায়েরা। সকাল থেকে রাত সন্তানের কেরিয়ার গঠনে রীতিমত উদ্যোগী হয় বাবা ও মা। তবে প্রাচীন হিন্দু শাস্ত্রেও পরীক্ষায় ভাল ফল করা আর নম্বর কীভাবে বাড়ানো যায় তার টিপস দেওয়া ছিল। সেই অনুযায়ী একবার ট্রাই করে দেখতেই পারেন। প্রাচীন বেদ এই ব্যাপারে আপনার সন্তানকে সাহায্য করতেই পারে।
১. মন্ত্র শক্তি
পরীক্ষায় প্রস্তুতির ব্যস্তার মধ্যে বৈদিক মন্ত্রের প্রভাব কিন্তু খুব জোরাল হয়। জ্ঞানের দেবী মা সরস্বতীকে উৎসর্গ করা যে মন্ত্রগুলি রয়েছে সেগুলি আপনার সন্তানের মনোসংযোগ বাড়াতে সাহায্য করে। পাশাপাশি একাগ্রতা বাড়ায়।
২. শুভ গ্রহের প্রভাব
বৈদিক জ্যোতিষাস্ত্র অনুযায়ী যে কোনও ব্যক্তির জীবনে শুভগ্রহের প্রভাব সাফল্যের অন্যতম শর্ত। আপনার জ্যোতিষ সংক্রান্ত চার্ট বোঝা একাডেমিক সাধনার জন্য অনুকূল এবং চ্যালেঞ্জিং সময়কাল সম্পর্কে মূল্যবান দেখে নিন। এক্ষেত্রে বুধ গ্রহের অবস্থান খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
৩. রত্ন পাথরের ব্যবহার
বৈদিক শাস্ত্র অনুযায়ী শক্তি বাড়াতে আর বাধা কাটাতে নির্দিষ্ট রত্ন পাথর খুবই গুরুত্বপূর্ণ। হলুদ নীলকান্তমণি এবং পান্নার মতো রত্নপাথরগুলি বুদ্ধিমত্তা এবং একাডেমিক সাফল্যের সাথে জড়িত। এই রত্নগুলি পরা আপনার মানসিক স্বচ্ছতা এবং ফোকাস বাড়াতে পারে, পরীক্ষায় ভাল পারফরম্যান্সে অবদান রাখতে পারে।
৪. ধ্যান অনুশীলন
বেদ মানসিক এবং মানসিক ভারসাম্য সহ সামগ্রিক সুস্থতার পক্ষে কথা বলে। দৈনন্দিন রুটিনে মননশীলতা কৌশল এবং ধ্যান অন্তর্ভুক্ত করুন। গভীর, সচেতন শ্বাস এবং ধ্যান মানসিক চাপ কমাতে পারে, স্মৃতি ধরে রাখতে পারে এবং সামগ্রিক মানসিক স্বচ্ছতার পথ প্রস্তস্থ করতে পারে। যে কোনও মানুষ যে কোনও বয়সেই মনসংযোগ বাড়াতে ধ্যান করতেই পারেন।