Parenting Tips: আপনার শিশু কি দ্রুত অধৈর্য হয়ে পড়ে? হতাশা কমিয়ে ধৈর্য বাড়াতে রইল ৮টি উপায়

Published : Jan 01, 2024, 09:58 PM IST
Impatience

সংক্ষিপ্ত

অনেক শিশু রয়েছে যাদের ধৈর্য অনেক কম। কোনও কাজেই তাদের মন বসে না। শেখার আগ্রহ কম। তাদের নিয়ে রীতিমত নাজেহাল হতে হয় বাবা ও মাকে। 

অভিভাবক হওয়া কিন্তু খুব কঠিন কাজ। প্রচুর ধৈর্যের প্রয়োজন হয় নিজের সন্তানকে লালনপালন করার জন্য। কারণ একজন বাবা মা-ই তাঁর সন্তানের মধ্যে মূল্যবোধ, দক্ষতা এগুলি তৈরি করে দিতে পারেন। কিন্তু অনেক শিশু রয়েছে যাদের ধৈর্য অনেক কম। কোনও কাজেই তাদের মন বসে না। শেখার আগ্রহ কম। তাদের নিয়ে রীতিমত নাজেহাল হতে হয় বাবা ও মাকে। শিশুদের মধ্যে এজাতীয় আচরণের অনেক কারণ থাকতে পারে। কী কারণে আপনার সন্তান অধৈর্য হয়ে পড়ছে তা বুঝে নিতে হবে আপনাকেই। আর সেখান থেকে দ্রুত সন্তানকে বার করে আনার চেষ্টা করতে হবে। কারণ সন্তানের বিকাশের একটি বড় শর্তই হল ধৈর্য। যদি সন্তানের একাগ্রতা কম হয় তাহলে সন্তানকে পড়াশুনা থেকে শুরু করে কোনও কিছু সেখাতে নানা ধরনের সমস্যা দেখা দেয়।

১। শিশুর সঙ্গে যোগাযোগ বাড়াত হবে। তার সঙ্গে প্রচুর কথাবার্তা বলে তার হতাশার কারণ জানার চেষ্টা করুন। অনেক সময় শিশুরা কোনও বিষয়ে হতাশ হয়ে গেলে ধৈর্য কমে যায়।

২। শিশুদের বোঝার চেষ্টা করুন। তাতের ঘুম বা খিদের ওপর নজর দিন। শারীরিক অসুস্থতাও কিন্তু অধৈর্যের কারণ হতে পারে।

৩। শিশুর ধৈর্য বা একাগ্রতা বাড়াতে তার সঙ্গে ছোট ছোট খেলা খেলতে পারেন। পাজেল কিন্তু একটি দুর্দান্ত উপকরণ হতে পারে।

৪। শিশুর ধৈর্য আর একাগ্রতা বাড়াতে তাতে একটি গল্প বলুন। অধিকাংশ শিশুই কিন্তু গল্প শুনতে ভালবাসে। আর সেই গল্পটাই তাতে আপনাকে বলতে বলুন। তাতে শিশুর ধৈর্য যেমন বাড়বে তেমনই কল্পনা ও স্মৃতিশক্তি বাড়বে।

৫। যে কোনও ঘরোয়া কাজে শিশুকে দূরে রাখবেন না। সে যে ছোট সেই কথা মনে করিয়ে না দিয়ে ছোটছোট কাজ আপনি আপনার সন্তানকে করতে বলতে পারেন। তাতে শিশু ব্যস্ততা বাড়বে। হতাশ হওয়ার সময় অনেকটাই কমবে। শিশুকে ব্যস্ত রাখাও কিন্তু বাবা ও মায়ের একটি বড় কাজ।

৬। শিশুর দৈন্দদিন কিছু কাজ অবশ্যই তাকে দিয়ে করার। যেগুলি সে পারবে। কোনও কাজ প্রথম দিন সঠিক না হলে দ্বিতীয় দিনও তাকে দিয়েই করান। তাহলে ধৈর্য বাড়বে। একদিন যে যখন সঠিকভাবে কাজটি করতে পারবে তখন সে আনন্দ পাবে। হতাশা দূর হবে।

৭। শিশুদের আবেগ বুঝার চেষ্টা কিন্তু বাবা ও মাকেই করতে হবে। আর সেইমত তাদের পরামর্শ দিতে হবে।

৮। শিশুদের ধৈর্য ধরার প্রশিক্ষণ তাদের বাবা ও মাকেই দিতে হবে। তাদের বোঝাতে হবে কোনও কাজ একবার করলেই সফল হওয়া যায় না। একটি কাজ বারবার করলে তবেই সাফল্য আসে। আর নিজের চেষ্টা সাফল্য পাওয়ার মজাই আলাদা হয়।

PREV
click me!

Recommended Stories

সন্তানকে ‘সেরা’ করে তুলতে গিয়ে আপনি ‘পিকক পেরেন্ট’ হয়ে যাচ্ছেন না তো?
শিশুদের স্মৃতিশক্তি বাড়াতে পারে এমন সাতটি সুপারফুড