
আমরা বাবা মায়েরা সন্তানদেরকে খুব আদর যত্নে বড় করতে গিয়ে অনেক সময় আমাদের দ্বারাই কিছু ভুল-ভ্রান্তি হয়ে যায়। যার ফলে অনেক বাচ্চারা খুব অতি সহজেই বখাটে হয়ে পড়ে।বড়দের কিছু ভুল অভ্যাসের কারণে অজান্তেই ক্ষতি হচ্ছে ছোটদের। বাবা-মায়ের দৈনন্দিন জীবনযাপন, কথা বলার ধরন এবং অভ্যাসের মাধ্যমেই শিশুরা সবকিছু শিখতে শুরু করে। তাই তারা ভুল বা ঠিক যাই করুক না কেন, তা কিন্তু বড়দের থেকেই শেখা। তাই বাবা-মায়েদের এমন কিছু অভ্যাস আছে, যা তারা অজান্তেই শিশুদের মধ্যে ঢুকিয়ে দেন, অথচ এই অভ্যাসগুলো শিশুদের ভবিষ্যতের জন্য খুবই ক্ষতিকর।
পারিবারিক রীতিনীতি থেকে শুরু করে নানা ধরনের অভ্যাসও ছোটরা বড়দের থেকে আয়ত্ত করে। তবে কয়েকটি অভ্যাস তাদের না শেখানোই ভাল। অন্যথায় ভবিষ্যতে আগামী প্রজন্মের ক্ষেত্রেও তারা একই ভুল করবে। এই অভ্যাসগুলিকে আবার অনেক সময়েই বাবা-মায়েরা ‘সঠিক’ বলে ধরে নেন।
* সন্তানের যদি বাধ্য হয় বা কোনও নির্দেশ পালন করে, তা হলে পুরস্কার হিসেবে অনেকেই তাদের খাবার দিয়ে থাকেন। এই অভ্যাসের ফলে সময়ের সঙ্গে ছোটদের খাবারের ধরন বদলে যেতে পারে। অতিরিক্ত খাবারে সন্তান অসুস্থ হয়ে পড়তে পারে।
* বর্তমান সময়ের ছোটরাও সব সময়ে ব্যস্ত। পড়াশোনা, খেলাধুলো ছাড়াও নানা কাজ থাকে তাদের। ছোটদের ক্ষেত্রে প্রতি দিন ব্যস্ত রুটিন তৈরি করা উচিত নয়। অর্থাৎ সকাল থেকে রাত সন্তান যদি বিভিন্ন ক্লাস এবং প্রশিক্ষণের মধ্যে থাকে, তা হলে তার নিজের সময় আর থাকে না। অথচ বাবা-মায়েরা বিষয়টা অনেক সময়েই উপেক্ষা করেন।
* সন্তান যদি সংবেদনশীল হয় বা আবেগের বহিঃপ্রকাশ ঘটায়, তা হলে বড়রা অনেক সময়ে তা মেনে নিতে পারেন না। কিন্তু পুরুষ মাত্রেই কাঁদবে না বা মেয়েদের ঘরকন্নার কাজ শিখতেই হবে— এই ধরনের ভাবনা থেকে বাবা-মায়েদের বেরিয়ে আসা উচিত। সন্তানকে তার আবেগ চেপে রাখতে শেখানো উচিত নয়।
* ছোটদের মন সহজেই ভেঙে যেতে পারে। তাই তাদের সঙ্গে বুদ্ধি করে মিশতে হয়। ছোটদের সমসায়মিক অন্য বাচ্চাদের সঙ্গে তুলনা করা উচিত নয় তার ফলে তাদের মনের উপর চাপ তৈরি হয়। অথচ একটি বড় অংশের অভিভাবকেরা সেটাই করে থাকেন।