
সন্তানের আলস্য কাটাতে ও উৎসাহ ফেরাতে বাবা-মায়েরা কয়েকটি কৌশল অবলম্বন করতে পারেন, যেমন—তাদেরকে বাড়ির কাজে সঙ্গী করা, ছোট ছোট লক্ষ্য নির্ধারণ করে দেওয়া, তাদের আগ্রহের বিষয়ে উৎসাহিত করা, খেলাধুলায় যুক্ত করা এবং সর্বোপরি নিজেদের আচরণে ইতিবাচকতা আনা, কারণ শিশুরা বাবা-মায়ের কাছ থেকেই শেখে।
১. বাড়ির কাজে যুক্ত করুন: ছোটবেলা থেকেই সন্তানকে বাড়ির ছোট ছোট কাজে দায়িত্ব দিন। এতে তাদের মধ্যে দায়িত্ববোধ ও কর্মঠ ভাব আসে, যা তাদের উৎসাহী করে তোলে এবং কর্মবিমুখতা কমে।
২. ছোট লক্ষ্য নির্ধারণ: বড় কাজকে কয়েকটি ছোট ভাগে ভাগ করে দিন। প্রতিটি ছোট কাজ শেষ হলে প্রশংসা করুন। এতে তারা আত্মবিশ্বাসী হবে এবং বড় কাজ শেষ করার উৎসাহ পাবে।
৩. আগ্রহের বিষয়ে উৎসাহ দিন: সন্তান কীসে আনন্দ পায়, তা খুঁজে বের করুন। ছবি আঁকা, গান, খেলা বা অন্য কোনো শখের দিকে মনোযোগ দিতে সাহায্য করুন। আগ্রহ থাকলে তারা সেই কাজে বেশি সময় দেবে।
৪. শারীরিক ও খেলাধুলায় গুরুত্ব: খেলাধুলা শিশুদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশে সাহায্য করে। তাদের নিয়মিত খেলাধুলায় যুক্ত করুন, যা তাদের মধ্যে উদ্যম ও প্রাণশক্তি বাড়াবে।
৫. বাবা-মায়ের ইতিবাচক উদাহরণ: শিশুরা তাদের বাবা-মাকেই অনুসরণ করে। বাবা-মা যদি কর্মঠ ও ইতিবাচক হন, তাহলে সন্তানের মধ্যেও সেই গুণাবলী প্রতিফলিত হবে। নিজেদের আচরণে পরিবর্তন আনুন।
বিস্তারিত জানুন : কেন এমন হয়? অনেক সময় অতিরিক্ত চাপ, কোভিড পরবর্তী সময়ে দীর্ঘ সময় ঘরবন্দী থাকা, বা বাবা-মায়ের অজান্তে শেখা কিছু খারাপ অভ্যাস শিশুদের মধ্যে আলস্য তৈরি করতে পারে। কীভাবে কাজ করবে এই কৌশল? যখন বাচ্চারা দেখে যে তাদের কাজকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে এবং ছোট ছোট সাফল্যেও প্রশংসা করা হচ্ছে, তখন তাদের মধ্যে কাজ করার একটা তাগিদ তৈরি হয়। তাদের নিজস্ব পছন্দকে প্রাধান্য দিলে তারা নিজেদের বিষয়ে আরও মনোযোগী হয়। খেলাধুলা বা শখ তাদের চাপমুক্ত রাখে এবং নতুন কিছু করার অনুপ্রেরণা যোগায়। সবশেষে, বাবা-মায়ের ইতিবাচক ভূমিকা তাদের আত্মবিশ্বাস বাড়াতে সাহায্য করে।