পুজো তো চলেই এলো। তাই সাজ সাজ রব উঠেছে চারিদিকে। শপিং ও তো ইতিমধ্যে সবার শেষ। এবার হল প্ল্যানিং এর পালা কোনদিন, কোনটা পড়বে তাই এশিয়ানেট নিউজ এনেছে পুজোর সাজের কিছু টিপস। দেখে নেওয়া যাক সেগুলো
পুজোর সাজ মোটামুটি ষষ্ঠী থেকে শুরু হয়ে যায়। তবে পুজোয় দিনগুলির আবহাওয়া অনুযায়ী একটু আরামদায়ক জামা পড়াই ভালো। মাথায় রাখতে হবে, শুধু নতুন পোশাক পড়লেই হবে না, নতুন জামা পড়ে যাতে শান্তিতে ঠাকুরও দেখতে পারেন সেই বিষয়েও লক্ষ্য রাখতে হবে। তাই ষষ্ঠীর সন্ধ্যেতে হালকা রঙের স্লীভলেস কুর্তির সঙ্গে অ্যঙ্কল লেন্থ পালাজো পড়েই করতে পারেন প্যান্ডেল হপিং। আর ওয়েস্টার্ন এর মধ্যে পড়লে ক্যাজুয়াল জিন্স আর টপটাই যথেষ্ট।
এরপর আসছে মহাসপ্তমী। সেদিন সকালের জন্য থ্রি কোয়ার্টার বেল স্লিভসের কুর্তির সঙ্গে ম্যাচিং প্রিন্টেড লেগিংস ভালো লাগবে। আর রোদে ট্যান পড়ার ভয়ও থাকবে না।
আর সপ্তমীর রাতের জন্য ইন্ডিয়ান হলে পিওর সিল্ক এর শাড়ির সাথে কনুইয়ের ওপর অবধি হাতাওয়ালা সুন্দর ব্যাক কার্টিং ব্লাউজ ভালো লাগবে। আর ওয়েস্টার্ন পড়তে চাইলে জিনসের ওয়ান পিস বা অ্যঙ্কল লেন্থ জাম্পস্যুট সপ্তমী উপলক্ষে দারুন মানানসই হবে।
বাঙালিদের কাছে অষ্টমী মানে এথনিক। এটা আলাদা করে বলে দিতে হয় না। এই দিন ওয়েস্টার্ন এর প্রশ্নই ওঠে না। তাই সকাল বেলা পুষ্পাঞ্জলি দেওয়ার সময় একদম বাঙালি ভাবে আটপৌড়ে করে প্রিয় তাঁতের শাড়িটা পড়া যেতেই পারে। আর রাতের জন্য লিনেন সিল্ক বা হ্যান্ডলুম পড়তেই পারেন। এছাড়াও লেহেঙ্গা বা ক্রপ টপের সঙ্গে ম্যাচিং করে এক কালারের লং স্কার্ট পড়া যেতে পারে। এতে বেশ ইন্দো-ওয়েস্টার্ন এথনিক লুক আসে।
নবমীর সকালের জন্য স্লীভলেস জাম্পস্যুট এর সঙ্গে জ্যাকেট টিম আপ করে পড়তে পারেন আর রাতে লং ওয়ান পিস বা নি লেন্থ বডিকন ড্রেস। নবমীর রাত জমে উঠবে সহজ সাজেই।
দশমী তো মায়ের বিদায়বেলা এবং দশমী মানেই সিঁদূর খেলা। আর সিঁদূর খেলা মানেই লাল পাড় সাদা শাড়ি। তাঁত বা তসরের শাড়ি পড়তে পারেন। আর শাড়ি না পড়তে চাইলে সাদা স্লীভলেস কুর্তির সাথে লাল পাতিয়ালা প্যান্ট ও লাল ওড়না টিম আপ করে পড়তে পারেন। সুতরাং পুজো মানেই নিজেকে সাজিয়ে তোলা এবং শরৎ রানীর সঙ্গে সঙ্গে নিজেও হয়ে উঠুন অনন্যা।