
যে জিনিস যত নিষিদ্ধ, তার প্রতি টান তত বেশি যেন মানুষের। একই রকমভাবে বিবাহ বহির্ভুত নিষিদ্ধ সম্পর্কের প্রতি আকর্ষণও আজকাল মানুষের মধ্যে বেশি। তবে কে, কখন, কার প্রেমে পড়বে বলা মুশকিল। অনেকে মনে করেন, বিবাহিত সঙ্গীর সঙ্গে মানসিক দূরত্ব থেকেই পরকীয়া সম্পর্কের দিকে এগোন মানুষ। মানসিক দূরত্বের পাশাপাশি শারীরিক ভাবে অপূর্ণতা, সাথে বিভিন্ন পরিস্থিতে পড়ে পরকীয়া সম্পর্কের দিকে ঝোঁকেন মানুষ।
সম্প্রতি জনপ্রিয় এক ডেটিং প্ল্যাটফর্ম ‘অ্যাসলে ম্যাডিসন’ গত জুন মাসে একটি সমীক্ষা প্রকাশ করেছে, যেখানে পরকীয়ার সম্পর্ক নিয়ে উঠে এসেছে এক চমকপ্রদ তথ্য। ভারতের কোন জায়গার মানুষ সবচেয়ে বেশি বিবাহ বহির্ভুত সম্পর্কে জড়ান, তা নিয়েই করা হয়েছিল সমীক্ষা। তবে কি তথ্য উঠে এসেছে সেখানে?
সমীক্ষার তথ্য বিশ্লেষণ যা তথ্য উঠে এসেছে তা সত্যি বিস্ময়কর। কোন শহরের মানুষজন সবচেয়ে বেশি পরকীয়ার সম্পর্কে জড়ান আপনাকে জিজ্ঞেস করলে হয়তো আপনিও ভাববেন মেট্রোসিটি গুলির মধ্যে থেকে কোনোদিন একটি। কিন্তু আদপে সেই তালিকার শীর্ষে রয়েছে তামিলনাড়ুর কাঞ্চিপুরম। হ্যাঁ, ঠিকই শুনছেন, যে কাঞ্চিপুরম তার শাড়ির জন্য জনপ্রিয়। এই শহরেই বিবাহ বহির্ভুত সম্পর্কের রেট সবচেয়ে বেশি।
গত বছরের সমীক্ষায় এই শহরের তালিকার ১৭ নম্বরে ছিল। এবার সকলকে চমকে দিয়ে তালিকার শীর্ষে উঠে এসেছে একেবারে। তবে পিছিয়ে নেই মেট্রোসিটি গুলোও। মেট্রোসিটিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে এগিয়ে দিল্লি। তালিকার প্রথম ২০টি শহরের মধ্যে রয়েছে দক্ষিণ দিল্লি, উত্তর-পশ্চিম দিল্লি, পশ্চিম দিল্লি, পূর্ব দিল্লি, মধ্য দিল্লি এবং দক্ষিণ-পশ্চিম দিল্লির নাম। এছাড়াও তালিকায় রয়েছে নয়ডা, গুরুগ্রাম, গাজ়িয়াবাদ, পুনে, বেঙ্গালুরু, চণ্ডীগড়, লখনউ, হায়দ্রাবাদ ইত্যাদিও।
কলকাতার স্থান কততে রয়েছে জানতে চান? ‘অ্যাসলে ম্যাডিসন’-এর সমীক্ষায় কলকাতার স্থান রয়েছে তালিকার ১৩ নম্বরে। অর্থাৎ পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ছেন কলকাতার মানুষজনও। ‘অ্যাসলে ম্যাডিসন’-এর সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে ভারতের ছোট শহরগুলিতে পরকীয়ার চাহিদা বাড়ছে। ভারতের টায়ার-২ শহরে বিবাহিত পুরুষ ও নারীদের মধ্যে ডেটিং অ্যাপ ব্যবহারকারীর সংখ্যা উল্লেখযোগ্য ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।