
Late Marriages: বাঙালি সমাজে তথা ভারতের বেশ কিছু রাজ্যে এখনও কম বয়সে বিয়ের (Wedding) চল বিদ্যমান। কিন্তু আধুনিক জীবনের প্রেক্ষাপটে অনেকেই পেশাগত প্রতিষ্ঠা এবং মানসিক ভাবে প্রস্তুতির পরই বিয়ে করে থাকেন। তবে মা-ঠাকুমারা আজও বলে থাকেন তাড়াতাড়ি বিয়ে করার জন্য, না হলে সমস্যা হতে পারে অনেক রকম। কিন্তু অনেক বিশেষজ্ঞদের মতে, বয়স একটু বেশি হলে বিয়ের (Late marriage) কিছু অসাধারণ উপকারিতাও রয়েছে। সেন্টার ফর মেন্টাল হেলথের প্রধান ক্লিনিকাল সাইকোলজিস্ট নূপুর ঢাকেফালকর জানাচ্ছেন, 'বিয়ের জন্য প্রস্তুতি মানে শুধু ভালোবাসা নয়, এর সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে মানসিক স্থিতিশীলতা, আত্মবোধ, প্রতিশ্রুতি এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা।' তবে কম বয়সে বিয়ে করবেন না অল্প বয়সে, তা সম্পূর্ণ দুই প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তির সিদ্ধান্তের উপর নির্ভর করে।
বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মানুষ কর্মজীবনে প্রতিষ্ঠা পায়। ফলে আর্থিক দিক দিয়ে আত্মনির্ভরশীলতা আসে। এটি একটি সম্পর্ককে অর্থনৈতিক চাপমুক্ত রাখে এবং দাম্পত্য জীবন হয় আরও শান্তিপূর্ণ।
তরুণ বয়সে সম্পর্ক অনেক সময় আবেগনির্ভর হয়, যেখানে পরিণত বয়সে মানুষ সম্পর্ককে দায়িত্ব ও বোঝাপড়ার জায়গা থেকে দেখে। এটি দাম্পত্য জীবনে দীর্ঘস্থায়ী সৌহার্দ্য তৈরি করে।
দেরিতে বিয়ে করলে নিজের পছন্দ–অপছন্দ, জীবনের মূল্যবোধ, ও ভবিষ্যতের পরিকল্পনা আরও ভালোভাবে বোঝা যায়। এই আত্ম-অনুসন্ধান একজনকে উপযুক্ত জীবনসঙ্গী বেছে নিতে সহায়তা করে।
বয়সের সঙ্গে সংবেদনশীলতা ও ধৈর্য বাড়ে। দেরিতে বিয়ে করা ব্যক্তি সাধারণত দাম্পত্য জীবনের চ্যালেঞ্জগুলো আরও সংযত ও যুক্তিসঙ্গতভাবে সামলাতে পারে। ঝগড়া কম হয়, বোঝাপড়া বাড়ে।
বয়স বাড়ার সঙ্গে দায়িত্ববোধও বাড়ে। দেরিতে বিয়ে করলে একজন ব্যক্তি সময় ব্যবস্থাপনা, পরিবার ও কর্মজীবনের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখতে পারেন দক্ষতার সঙ্গে।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।