দিন শুরু হয় ও শেষ হয় স্মার্টফোন দিয়ে। খাবার অর্ডার করা হোক বা অ্যালার্ম দিয়ে ঘুম ভাঙানোই হোক স্মার্টফোনের উপরেই ভরসা করা ছাড়া আর কোনও উপায় নেই। এমনকী, দিনে আপনি কতটা জল খেলেন বা কতটা হাঁটলেন সেটাও বলে দিতে পারে স্মার্টফোনের অ্যাপ। কিন্তু নিঃশব্দে এই মুঠো যন্ত্র কতটা ক্ষতি করে চলেছে তা বলাই বাহুল্য।
সম্প্রতি বিশেষজ্ঞরা দাবি করেছেন মোবাইল আমাদের শরীরের ভেতরে বিভিন্ন রকমের পরিবর্তন ঘটাচ্ছে। অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ডের সানশাইন ইউনিভার্সিটি গবেষণা হয়েছে এই সম্পর্কে। সেই গবেষণা থেকেই বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন মোবাইল ঘাটার ফলে মাথার পেছনের একটি হার ক্রমশই উঁচু হয়ে যাচ্ছে। এটি অনেকটা শিং-এর মতোই দেখতে।
গবেষকরা বলছেন মোবাইল ঘাঁটার ফলে শরীরের ওজন এমনভাবে হেলে যায় যাতে ভারসাম্যের সমস্যা দেখা দেয়।
এই ভারসাম্যকে ঠিক জায়গায় আনতে গিয়েই মাথার পিছনে একটি শিং তৈরি হয়।
বিশেষ করে এই প্রবণতা দেখা যাচ্ছে অল্প বয়সিদের মধ্যেই। জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ অল্প বয়সে হাড় তখনও সম্পূর্ণ ভাবে তৈরি হয় না। ফলে সহজেই সেই হাড় উঁচু হতে থাকে। এর থেকে মাথায় ও শিরদাঁড়ায় প্রচণ্ড যন্ত্রণা হওয়া শুরু হয়। তবে শুধু স্মার্ট ফোন নয় যে কোনও রকমের যন্ত্র এমন ফলাফল ঘটাতে পারে। ঘাড় নীচু করে মোবাইল ব্যবহার করার ফলে এর থেকে ঘাড়েও ব্যথা শুরু হয়। কিন্তু এখন আর শুধু ব্যথা নয়। অতিরিক্ত ব্যবহারে মাথায় শিং পর্যন্ত গজিয়ে উঠছে।