স্মার্টফোন বা সোশ্য়াল মিডিয়া ছাড়া আমরা এখন আর এক মুহূর্ত চলার কথা ভাবতে পারি না। এমনকী কোনও প্রয়োজন না থাকলেও প্রায়ই ফেসবুক বা ইনস্টাগ্রামে গিয়ে স্ক্রল করতে করতে থাকি। অধিকাংশ মানুষই এখন এই অভ্যেসে আক্রান্ত। খেতে খেতে, হাঁটতে চলতে, ঘুমোতে যাওয়ার আগে সবসময়েই আপনার আঙুল ব্যস্ত। কারণ আপনি ফেসবুকে স্ক্রল করেই চলেছেন। আপনার মস্তিষ্ক জানে এই স্ক্রল থেকে কিছু পাওয়ার নেই। তা-ও আপনার হাতকে নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা যেন মস্তিষ্ক হারিয়েছে। ব্যস্ততার যুগে সঙ্গীর সঙ্গে কাটানোর সময়ও অনেকে পান। অনেকে আবার পেলেও সঙ্গীর সামনেই স্মার্টফোনে ব্যস্ত থাকেন।
আরও পড়ুনঃ বয়সে বড় মহিলাদের প্রতি আকৃষ্ট হন! প্রেমে পড়ার আগে এই বিষয়গুলি মাথায় রাখুন
এই চিত্রটা এখন রাস্তা ঘাটে, রেস্তোরাঁয় বিভিন্ন জায়গাতেই দেখা যায়। সঙ্গীর সঙ্গে সময় কাটাতে বেরিয়েছেন ঠিকই। কিন্তু মন পড়ে মুঠোযন্ত্রয়। ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, টুইটার, হোয়াটসঅ্যাপে আপনি হয়তো ব্যস্ত। আর আপনার সঙ্গীও বাধ্য হয়ে তাঁর স্মার্টোফোনে ডুব দেন। ফলে দুজনের মধ্য়ে দূরত্ব বাড়তে থাকে। কিন্তু এই অভ্যাস কি ঠিক! একবার দেখে নেওয়া যাক
১) যদি ২ মিনিট অন্তর অন্তর ফোন চেক না করেন তা হলে কী হতে পারে। বা যদি একদিন সোশ্যাল মিডিয়ায় কিছু পোস্ট না করেন খুব কি ক্ষতি হবে। এতে পৃথিবী ধ্বংস হয়ে যাবে না। সঙ্গীর সঙ্গে সময় কাটাতে এলে সেটাতেই মন দিন। কারণ সেই সময়টা থেমে থাকবে না। সোশ্য়াল মিডিয়া, হোয়াটসঅ্যাপ, ফেসবুক একই জায়গায় থাকবে।
২) সঙ্গীর সঙ্গে সময় কাটানোর সময়েও যদি আপনি স্মার্টফোনেই ব্যস্ত থাকেন তা হলে মনে হবে সম্পর্কটা নিয়ে আপনি আদৌ সিরিয়াস নন। যে সম্পর্কে কথাবার্তা নেই তার ভিত্তিও কম। তাই আগে নিজের প্রায়োরিটি লিস্টটা ঠিক করে নিন। সঙ্গীর সঙ্গে কথা বলা না কি ফোন স্ক্রল করা কোনটা বেশি জরুরি সেটা দেখুন।
৩) সঙ্গীর সঙ্গে কথা বলার সময়ে যদি স্মার্টফোন ব্যবহার করেন, তার মানে আপনি সঙ্গীর প্রতি মোটেই শ্রদ্ধাশীল নয়। কথা বলার সঙ্গে বডি ল্যাঙ্গুয়েজও খুব জরুরি। সঙ্গীকে সামনে বসিয়ে রেখে স্মার্টফোনে ডুবে যাওয়া মোটেই শ্রদ্ধাশীল আচরণ নয়।