কার্ডিওলজিকাল সোসাইটি অফ ইন্ডিয়ার ২০১৭-র রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে প্রতি তিন জন ভারতীয়ের মধ্য়ে ১ জন হাইপারটেনশন বা হাইপ্রেশারে ভোগেন। ওষুধ খেয়ে হাই প্রেশার বা উচ্চ রক্তচাপ কমানোই যায়। কিন্তু তারও কিছু পার্শ প্রতিক্রিয়া থাকে। তাই বাড়ির খাবার খেয়ে যদি এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায় তার থেকে ভালো আর কীই বা হতে পারে। হাই প্রেশারের কবলে পড়লে নুন খাওয়া সম্পূর্ণ বাদ দিতে হয় এমন কথিত আছে। কিন্তু ঘরেই রয়েছে এমন কিছু খাবার খেয়ে আপনি সহজেই কমাতে পারেন হাই প্রেশার।
আরও পড়ুনঃ মহিলাদের শরীরের গঠনই বলে দেয় তাঁদের হার্ট কতটা সুস্থ
প্রসেসড মিট, ক্য়ানে বন্দি খাবার বা পানীয়, ইত্যাদি খেলে হাই প্রেশারের সমস্যা বাড়বে। বরং ডায়েটে সবজি, ফল ইত্যাদি যোগ করুন। এতো গেল খাবার। কিন্তু জানেন কি কয়েকটি পানীয় নিয়মিত খেলেও আপনি কমাতে পারেন হাই প্রেশার। জেনে নেওয়া যাক সেগুলি কী কী
১) লো ফ্যাট মিল্ক- দুধে পটাশিয়াম, ভিটামিন ডি, ফসফরাস,ক্যালশিয়াম ইত্যাদি থাকে। কিন্তু চেষ্টা করুন লো ফ্যাট মিল্ক খাওয়ার। ব্রিটিস জার্নাল অফ নিউট্রিশন বলছে, ফুল ফ্যাট মিল্কে পামিটিক অ্যাসিড থাকে যা রক্তের ভেসেলকে ব্লক করে দেয়। তাই লো ফ্যাট মিল্ক বা কম ফ্যাট যুক্ত দুধ খান।
২) শিয়া সিডস ইনফিউসড ওয়াটার- শিয়া সিড ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্য়াসিড সমৃদ্ধ। এটি রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। শিয়া সিডস জলে ভিজিয়ে রাখুন আধ ঘণ্টার জন্য। এবার সেই জল খান।
৩) বেদানার রস- এতে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম থাকে যা রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। গ্রিন টি বা রেড ওয়াইনে যে পরিমাণে অ্য়ান্টি অক্সিড্যান্ট থাকে তার থেকে তিন গুণ বেশি অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট থাকে বেদানায়।
৪) অ্যাপল সাইডার ভিনিগার ড্রিঙ্ক- এতে পটাশিয়াম থাকে। এটি শরীর থেকে অতিরিক্ত সোডিয়াম ও টক্সিন বের করতে সাহায্য করে। এর গ্লাস হালকা গরম জলে একটু মধু ও অ্যাপল সাইডার ভিনিগার মিশিয়ে তা খালি পেটে খান। উপকার পাবেন।
৫) মেথি ভেজানো জল- এতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে । নিয়মিত এই পানীয় পান করলে তাই সহজেই কমানো যায় রক্তচাপ। রাতে জলে মেথি ভিজিয়ে রাখুন। সকালে ঘুম থেকে উঠে সেই জল পান করুন।