সংক্ষিপ্ত
- হার্টের অসুখে কবলে পড়লে তা থেকে সহজে রেহাই পাওয়া যায় না
- মহিলাদের শরীরের গঠনই বলে দিতে পারে যে তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হতে পারেন কি না
- সম্প্রতি এক গবেষণা এমনই দাবি করছে
হার্টের অসুখে কবলে পড়লে তা থেকে সহজে রেহাই পাওয়া যায় না। সম্প্রতি এক গবেষণা বলছে, মহিলাদের শরীরের গঠনই বলে দিতে পারে যে তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হতে পারেন কি না।
গবেষণার মাধ্যমে উঠে এসেছে যে বয়স্ক মহিলাদের শরীরের মাঝের অংশ অর্থাৎ বুক ও পেটের অংশে মেদ বেশি থাকে তাঁদের হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনাও বেশি থাকে। এই ধরনের শরীরের গঠনকে অ্যাপল শেপ বডি বলে। অন্যদিকে যাঁদের শরীরে নীচের অংশ অর্থাৎ কোমর থেকে নীচের অংশ ও উরু ভারী, তাঁদের হার্টের অসুখ হওয়ার সম্ভাবনা বেশ কিছুটা কম থাকে তুলনামূলক ভাবে। শরীরে এই গঠনকে পিয়ার শেপ বলে। ইউরোপিয়ান হার্ট জার্নালে এই গবেষণার রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে।
একথা সকলেরই জানা, শরীরের মেদ জমলেই হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা এমনিতেই বেশি থাকে। এই গবেষণার সময়ে ২৬৮৩ মহিলার উপরে সমীক্ষা চালানো হয়। এঁরা প্রত্যেকেই মেনোপোজ পেরিয়ে গিয়েছেন। কিন্তু এঁদের কারও হার্টের সমস্যা ছিল না। এঁদেরকে প্রায় ১৮ বছর পর্যবেক্ষণে রাখেন চিকিৎসকরা।
আরও পড়ুনঃ কম বয়সেই হার্টের অসুখ, চিকিৎসকরা বলছেন কী করবেন, কী করবেন না
এঁদের মধ্য়ে ২৯১ জন পরবর্তীকালে হার্টের অসুখে আক্রান্ত হন। দেখা যায় এঁদের অধিকাংশেরই শরীরের মাঝের অংশ ভারী কিংবা পেটে মেদ। বলা ভাল, এঁদের শরীরর গঠন অ্যাপল শেপের। সমীক্ষা থেকে বেরিয়ে আসে অন্য গঠনের চেহারার থেকে অ্যাপল শেপের চেহারার মহিলাদের হার্টের অসুখের কবলে পড়ার সম্ভাবনা ৯১ শতাংশ বেশি। যাঁদের পেটের তুলনায় উরুতে মেদের পরিমাণ কম তাঁদের হার্টের অসুখে ভোগার সম্ভাবনা আরও বেশি থাকে। অন্যদিকে যাঁদের পেটে মেদ কম, কিন্তু নিতম্ব ও উরুতে মেদ বেশি তাঁদের হার্টের অসুখে ভোগার সম্ভাবনা কম।
প্রসঙ্গত, মেনোপোজের সময়ে মহিলাদের শরীরের গঠনে বেশ কিছু পরিবর্তন দেখা যায়। এই পরিবর্তন জিনের উপরও নির্ভর করতে পারে। শরীরের বিভিন্ন অংশে মেদ জমতে পারে। তবে পায়ে মেদ বাড়ানো যেমন কঠিন, তেমনই পেট থেকে মেদ কমানোও সহজ নয়। জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে সুস্থ থাকার জন্য শরীরচর্চা ও ডায়েটেও নিয়ন্ত্রণ রাখতে হবে।